কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

কয়েক মাস পরপরই ওষুধের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বিশেষত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দেশীয় কোম্পানিগুলো ওষুধের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিতে উদ্বেগ ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

রোববার (০৬ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

বিবৃতিতে বলা হয়, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নজরদারিসহ রাষ্ট্রকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে।

সুয়োমটোতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক ট্যাবলেট, ভিটামিন, গ্যাস্ট্রিক ও ডায়াবেটিকসের ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশনের দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। অপরদিকে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের অভিযানে ভাটা পড়েছে। এই সুযোগে ওষুধের দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ। রাজধানীর গোপীবাগ, শাহবাগ, মিটফোর্ড ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার কয়েকটি ফার্মেসিতে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওষুধের দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা।

জানা যায়, দেশে উৎপাদিত মোট ওষুধের মাত্র ৩ শতাংশের দাম নির্ধারণ করতে পারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বাকি ৯৭ ভাগের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইচ্ছেমতো ওষুধ কোম্পানিগুলো মুনাফা করছে। এক্ষেত্রে বরাবরই বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ওষুধের কাঁচামাল, মার্কেটিং খরচ ও ডলারের দাম বাড়ার বিষয়টি সামনে আনা হয়। ওষুধের দাম বৃদ্ধি রোধে গত ২৯ এপ্রিল উচ্চ-আদালত থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয় কিন্তু সেটিও কার্যকর হচ্ছে না। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গৃহীত সুয়োমটোতে জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধের তালিকা করা, সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে রেখে ওষুধের দাম নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কমিশনকে অবহিত করতে মহাপরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি জ্ঞাতার্থে সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যে কারণে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে হামজাকে ছাড়েনি লেস্টার

জাতীয় কুচকাওয়াজে যেসব অস্ত্রের প্রদর্শন করল চীন

মরেও রেহাই পেলেন না কাউন্সিলর মিন্টু

পিটার হাস এখন কক্সবাজারে

২ হাজার এএসআই নিয়োগ দেওয়া হবে

৬ হাজার টাকায় বিক্রি এক ইলিশ

ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক স্থাপনের পথে মিসর

চীনের সামরিক প্যারেড নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাল জাপান

পুলিশের ওপর হামলায় গ্যাংহোতা জনি-রনি গ্রেপ্তার

পিয়াকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রস্তাব, অতঃপর

১০

সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম ফুটবল ম্যাচ, দেখবেন যেভাবে

১১

কিশোরের করুণ পরিণতির পর চ্যাটজিপিটি নিয়ে নতুন পরিকল্পনা 

১২

চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮

১৩

টানা ৫ দিন বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

১৪

ফরহাদের ছাত্রলীগ বিতর্ক, ভিডিও বার্তা দিলেন আসল ফরহাদ

১৫

শসায় ওজন কমে? জানুন পুষ্টিবিদ কী বলছেন

১৬

সাকিবের কীর্তিতে ভাগ বসালেন নবি

১৭

এস এম ফরহাদের ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই

১৮

মাদক সেবন করে মাতাল দুই বন্ধুর ঝগড়া, অতঃপর...

১৯

কুড়িলে সড়ক অবরোধ, বন্ধ যান চলাচল  

২০
X