কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেবে ইউরোপ

বাংলাদেশ ও ইইউ’র পতাকা। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ও ইইউ’র পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

ইউরোপের দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সভাকক্ষে দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ইইউ যৌথ কমিশনের ১১তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এই আগ্রহের কথা জানায় ইইউ যৌথ কমিশন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং ইইউয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।

জানা গেছে, ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় আরও দক্ষ শ্রমিক নিতে চায় ইইউ। ইউরোপের দেশগুলো প্রায় ১০টি খাতে বাংলাদেশ থেকে জনবল নিতে আগ্রহী। ইইউভুক্ত ওই দেশগুলোতে বৈধপথে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করছে সরকার। সব কিছু ঠিক থাকলে দুপক্ষের সম্মতিতে রোডম্যাপটি প্রকাশ করা হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি, ইতালি, গ্রিস ও রোমানিয়া জনশক্তি নিতে আগ্রহী। যৌথ কমিশন সভায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে খাতগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- আইসিটি, কেয়ারগিভিং, নির্মাণশিল্প, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি, কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত, জাহাজ নির্মাণ ও তৈরি পোশাকশিল্প।

সভায় এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও বাংলাদেশ যেন ইউরোপের বাজারে জিএসপি সুবিধা পায় সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহুপাক্ষিক উদ্যোগের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টিও আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

বৈঠকে ট্যালেন্ট পার্টনারশিপের অগ্রগতি নিয়ে বিশদ আলোচনা করে বাংলাদেশ-ইইউ। একদিকে ইউরোপ বৈধপথে আরও দক্ষ শ্রমিক চায়, অন্যদিকে অবৈধপথে নানানভাবে অনেক বাংলাদেশি ইউরোপে বসবাস করছে। তাদের বৈধতা দেওয়ার সুপারিশও করেছে বাংলাদেশ।

বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, জিএসপি নীতির সংশোধন নিয়ে ইইউ প্রতিনিধিদের কাছে কিছু দাবি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে অন্যতম ইইউ নতুন (খসড়া) জিএসপি স্কিম, বিশেষ করে সুরক্ষা ধারাগুলো সংশোধন করার কথা বিবেচনা করা। যেন বাংলাদেশের সব পণ্য, যার মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) পণ্যগুলো জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশের পণ্য যেন শুল্কমুক্তভাবে ইউরোপের বাজারে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য জিএসপির কিছু নীতি সংশোধন করার অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম ঘোষণা করে ইইউ। এর মাধ্যমে ইইউভুক্ত দেশগুলোর বাইরে বাংলাদেশসহ সাতটি দেশকে বিবেচনায় নিয়েছে, যেখান থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলো দক্ষ শ্রমিক নিতে চায়। সে হিসেবে বৈধপথে ইউরোপে বাংলাদেশি পাঠানোর সুযোগ আরও বাড়বে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইউনেস্কোর ৪৩তম সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি বাংলাদেশ

ভারতীয়দের জন্য সংকুচিত হচ্ছে মার্কিন দরজা

‘সোলজার’র প্রথম ঝলকে কী বার্তা দিলেন শাকিব খান?

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / ক্যানসার আক্রান্ত সেই রাশিদার চিকিৎসার দায়িত্ব নিল খুলনা মেডিকেল

টিকিট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে ডিসি সারওয়ারের হুঁশিয়ারি

আবরার ফাহাদ স্মরণে ৮ স্তম্ভ নির্মাণ, ব্যয় কত

মুক্তি পেলেন ইসরায়েলে আটক পাকিস্তানের জামায়াত নেতা

মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টে হজযাত্রী নিবন্ধনের বিষয়ে যা জানা গেল

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন : এম এ মালিক

এক দিনের ব্যবধানে আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম

১০

বাংলাদেশ সফরের জন্য আইরিশদের দল ঘোষণা

১১

এবার আরেক অপ্রতিরোধ্য সক্ষমতা অর্জনের পথে পাকিস্তান

১২

কুমিল্লায় গৃহবধূকে ধর্ষণ, ২ যুবক গ্রেপ্তার

১৩

মেঘনায় অভিযানিক দল ও জেলেদের সংঘর্ষ

১৪

হংকংয়ের বিপক্ষে জয় নিয়ে আশাবাদী হামজা

১৫

যে ৬ সমস্যায় কখনোই এআইয়ের পরামর্শ নেওয়া যাবে না

১৬

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

১৭

চাঁদাবাজদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে : কফিল উদ্দিন

১৮

ডাকসুর জিএস ফরহাদ হোসেনকে রাঙামাটিতে সংবর্ধনা

১৯

পুলিশ সদস্যদের হামলা ও অপদস্তের প্রতিবাদ দুই সংগঠনের 

২০
X