‘নারী কিসে আটকায়’ সম্প্রতি এমন একটি আলোচনা সামনে এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। নারী আসলে কোনো কিছুতে আটকায় কিনা- ইসলামে নারীর আটকানোর কোনো স্থান নির্ধারণ করা আছে কিনা- এবার এমন প্রশ্নও সামনে এসেছে। ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ গত শুক্রবার (১১ আগস্ট) জুমা পরবর্তী প্রশ্নোত্তর পর্বে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ চিটাগাং রোড ভূমিপল্লী আবাসন জামে মসজিদে জুমার পর এক মুসল্লির পক্ষ থেকে শায়খ আহমাদুল্লাহর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘নারীরা নাকি কিছুতেই আটকায় না, ইসলামে নারীদের আটকানোর আদৌ কোনো জায়গা কি আছে?’
এমন প্রশ্নের উত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, কিছু দিন পর পর অহেতুক আলোচনার একেকটা আইটেম বের হয়। ওই আইটেমের ওপর আমরা নানা মত দিই। আমাদের মেধা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগাই। যথেষ্ট সময় ব্যয় করি। প্রচুর সময় থাকলে যা হয় আর কি! কেউ বলছেন, নারীকে প্রেসিডেন্টও আটকাতে পারে না। আবার কেউ বলছেন, অমুক অমুক দিয়ে নারীকে আটকানো যায়। যার যার মতো চিন্তা-গবেষণা করে সবাই মতামত দিচ্ছেন। একজন মুসলমান হিসেবে নারী ও পুরুষ সবারই আটকানোর একটাই জায়গা আছে। সেটি হলো- আল্লাহ ও তার রাসুলের আদেশ ও নিষেধ। মুসলমান পুরুষ হোক বা নারী, বৃদ্ধ হোক বা যুবক, ধনী হোক বা গরিব- যখন কিছু করতে গিয়ে দেখবে যে, এ বিষয়ে আল্লাহর এই আদেশ আছে বা এই নিষেধ আছে, তখন সে আটকে যাবে। অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ-নিষেধের বিরোধী চিন্তা নিয়ে সে অগ্রসর হতে পারবে না। এটি শুধু আটকে যাওয়া নয়, একই সঙ্গে তার চূড়ান্ত সফলতার পথও।
তিনি বলেন, ঠিক একই কথা পুরুষের জন্যও প্রযোজ্য। স্ত্রীর প্রতি অন্যায়-অবিচার করা নিষেধ। ছোটলোকের মতো আচরণ স্ত্রীদের সঙ্গে করা যাবে না। সুতরাং এসব বিষয়ে পুরুষ আটকে যাবে। আল্লাহতায়ালা যেহেতু নির্দেশ করেছেন, তুমি তোমার সংসার জীবনে এই এই পদ্ধতি অবলম্বন করো, সবর করো, শোকর করো। সুতরাং এটা তার ঠেকার জায়গা। কেননা নির্দেশটা আল্লাহতায়ালারই। মুসলমানদের আটকানোর আর কোনো জায়গা নেই। সেটা পুরুষ হোক বা নারী হোক। এটি আমার দৃষ্টিভঙ্গি। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে তার কাছে সারেন্ডার করার তাওফিক দান করুন।
মন্তব্য করুন