কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২১ পিএম
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘বিনিয়োগ বোর্ডে হয়রানির শিকার হয়ে বহু বিদেশিকে কাঁদতে দেখেছি’

মাহবুব কবির মিলন। ছবি : সংগৃহীত
মাহবুব কবির মিলন। ছবি : সংগৃহীত

দেশ ধ্বংসের পেছনে অনেকাংশেই আমলারাই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন।

বুধবার (০৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে তিনি লেখেন, আপনারা কি জানেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডা (পূর্বের বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট) কোন মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে। মন্ত্রী কে? সচিব কে? সেই বিডা বা আগের বিওআই-কে যদি নিধিরাম সর্দার করে রাখা হয়, সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব বা অফিসে বিডার কোনো পাত্তা না থাকে, গুরুত্ব না থাকে, চিঠিপত্র পড়ে থাকে। বিডার কথা বা চিঠির গুরুত্ব যদি অন্যকোনো সরকারি অফিস না দেয়। বিডার নাম শুনলে যদি অন্য অফিস হাসি তামাশা করে।

বিডা প্রাণান্তকর চেষ্টা করার পরেও মন্ত্রী, সচিবদের অসহযোগিতার কারণে যদি বিনিয়োগকারীরা ফিরে যায়। বিডার চেয়ারম্যান, কর্মকর্তাদের যদি হায় হায় করে মাথা চাপড়াতে হয়।

বিডার একাধিক চেয়ারম্যানকে যদি আফসোস করে বলতে হয়, ‘কিছুই করতে পারলাম না। কেউ কথা শোনেনা।’ তাহলে বলতে পারেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়বে কীভাবে! বিদেশিরা বাড়িঘর ফেলে হাজার হাজার মাইল দূরে আপনার দেশে এসে বিনিয়োগ করবে কেন!

মাহবুব কবীর লেখেন, চট্টগ্রামে অন্যান্য সরকারি অফিস থেকে ভয়াবহ হ্যারাসমেন্টে শিকার হয়ে বিনিয়োগ বোর্ডে আমার অফিসে এসে কেঁদে ফেলত বিদেশিরা। চাইনিজ, জাপানিজ অনেক বিনিয়োগকারীকে কাঁদতে দেখেছি। আমার অফিসের সবাই তার সাক্ষী। বলতে পারেন, এই দেশে এফডিআই বাড়বে কীভাবে!

তিনি আরও লেখেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের আগে এমন একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যার অর্ডার দেখে আমি শুধু হতভম্ব নই, হার্টফেল করার উপক্রম হয়েছিল। হার্টফেল করার উপক্রম হয়েছিল অনেকের। সেটাই ছিল বিডা নামক কফিনের শেষ পেরেক।

তিনি লেখেন, এই দেশ ধ্বংসের পিছনে অনেকাংশেই আমলারাই দায়ী। বিশেষ করে গত ১৬ বছরের কিছু আমলা। এদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া প্রয়োজন ছিল।

মাহবুব কবীর মিলন ফেসবুক পোস্টে প্রশ্ন রাখেন, কী! বিডার মন্ত্রণালয়, সচিব কে?

তিনি লেখেন, পিএম অফিস। সচিব হচ্ছে, পিএম অফিসের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং পিএম এর সেক্রেটারি। এখন প্রধান উপদেষ্টার অফিস বা কার্যালয়। তিনিই মন্ত্রী বিডার। এবার বুঝলেন, বর্তমানে ব্যাটে-বলে ফাটাফাটি কেমন হচ্ছে, কেন হচ্ছে এবং কেমন হতে পারে!

এই কম্বিনেশনই দরকার প্রত্যেক সরকারি অফিসে। ৩০ বছর চাকুরি করেছি, আকুল হয়ে অপেক্ষা করেছি, এমন একটি মাহেন্দ্রক্ষণ বা কম্বিনেশনের। পাইনি, যা পেয়েছি, তা ছিল গতানুগতিক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চুরির মামলার হাজিরার টাকা জোগাতে ফের চুরি, অতঃপর...

বাবা-মায়ের ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন গোবিন্দ-কন্যা

সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে দেশ সেরা ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড যমুনার পণ্য 

জেন-জির নতুন ট্রেন্ড ‘থিম পার্টি’, কী হয় সেখানে

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ / আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের শক্তিশালী দল ঘোষণা

মামলা নিয়ে বিচলিত নন পলক, আইনজীবীকে ট্রায়ালের প্রস্তুতির নির্দেশ

ঘুষকাণ্ডে এবার জামায়াতের সেই পিপির নিয়োগ বাতিল

ভরা মৌসুমেও ইলিশের আকাল

শোকজের জবাব দেবেন ফজলুর রহমান

হত্যাচেষ্টার নতুন মামলায় পলক, রাষ্ট্রদ্রোহে জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার

১০

অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা সরকারের

১১

প্রিয় মানুষের অভিমান ভেঙে ফেলুন সহজ কিছু উপায়ে

১২

ইসলামী সংগীত গাইলেন ইউটিউবার সাইদুল হাসান

১৩

টঙ্গীতে ব্রিজ নির্মাণ ও সড়ক সংস্কারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ 

১৪

ভারতে আসছে আর্জেন্টিনা, প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের নাম আলোচনায়

১৫

তৌহিদ আফ্রিদির ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি

১৬

দেশ এখন স্থিতিশীল, জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত : প্রধান উপদেষ্টা

১৭

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর গোডাউনে মিলল টিসিবির বিপুল তেল

১৮

‘বাদল ভাই, আপনার মৃত্যুতে শোকাহত অনেক’

১৯

টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচসেরার তালিকায় সাকিবের অবস্থান কত

২০
X