মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের মধ্যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সংকট নিরসনে এখনো কোনো কার্যকর সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
রোববার (০৪ মে) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : আঞ্চলিক নিরাপত্তায় কৌশলগত প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পথ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে তৌহিদ হোসেন বলেন, ইতিহাস বলে- রোহিঙ্গা ইস্যুতে হওয়া সংকটগুলো শান্তিপূর্ণভাবে নয়, সংঘাতের মধ্য দিয়েই সমাধান হয়। এ সময় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ আফ্রিকার কয়েকটি জাতিগোষ্ঠীর স্বাধীনতা যুদ্ধকে উদাহরণ হিসেবে দেখান তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ২০১৭ সালে রাখাইনে সামরিক বাহিনীর দমনপীড়নের কারণে বাংলাদেশে তৃতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। এর আগেও প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা নানা সময় সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে আসে।
দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়াকে ‘বৃথা’ আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, একজন রোহিঙ্গাকেও প্রত্যাবাসন করা যায়নি। তিনি বলেন, আমরা কূটনীতি ত্যাগ করতে পারি না। কিন্তু আমাদের এ আশা ছেড়ে দিতে হবে, শুধু দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সফল হবে না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে কোনো প্রত্যাবাসন অবশ্যই স্বেচ্ছায় হতে হবে এবং সেখানে নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। তারা এমন জায়গায় ফিরে যাবে না- যেখানে তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং তাদের অধিকার অস্বীকার করা হয়।
সামরিক জান্তা, আরাকান আর্মি এবং ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টকে (এনইউজি) মিয়ানমারের প্রধান অংশীজন হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে কোনো স্থায়ী সমাধানে অবশ্যই এই ৩টি পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিশেষ করে আরাকান আর্মিকে, যারা এখন রাখাইন (আরাকান) রাজ্যের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
মন্তব্য করুন