বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুরুতর আহত খোকন চন্দ্র বর্মন রাশিয়ায় তার চিকিৎসার প্রথম ধাপ শেষ করে দেশে ফিরেছেন।
বুধবার (৭ মে) কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান ঢাকা পৌঁছান।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত খোকন চন্দ্র বর্মনের মুখের রিকনস্ট্রাকশন সার্জারির প্রথম ধাপের জন্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল।
খোকনকে চিকিৎসার বিষয়ে রাশিয়ায় প্রশিক্ষিত ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, গত ২২ এপ্রিলে রাশিয়ার স্থানীয় একটি হাসপাতালে খোকন চন্দ্র বর্মনের প্রথম ধাপের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়। খোকনের মুখের রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি লক্ষ্যে প্রথমে তার মুখের থ্রি ডি মডেল তৈরি করা হয় এবং পরবর্তীতে তার নিচের চোয়ালে টাইটেনিয়ামের পাত বসানো এবং অস্টিওসিন্থেসিস করা হয়েছে। অপারেশনের সময় তার মুখ থেকে তিন থেকে ৪টি বুলেটের (ছররা বুলেটের) অংশ বের করা হয়। দ্বিতীয় ধাপের অপারেশনে উপরের চোয়াল (ম্যাক্সিলা) রিকনস্ট্রাকশন নিয়ে কাজ করা হবে। পুরো অপারেশনের দ্বিতীয় ধাপটি হবে সবচেয়ে জটিল কঠিন অপারেশন। যার উপরে খোকনের মুখের অবয়ব নির্ধারিত হবে। এই জটিল অপারেশনটি রাশিয়ার একজন জাতীয় অধ্যাপক ও দুজন অধ্যাপক করবেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন ডা. মাহমুদুল হাসান।
তিনি আরও জানান, সম্ভাব্য জুলাই মাসের প্রথমে সেই অপারেশন করা হবে। সঙ্গে তার বাম চোখের এনুক্লেশন করা হবে। একটি অস্ত্রোপচার পদ্ধতি যার মধ্যে চোখ (চোখের বল) এবং এর বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ অপসারণ করা হয় এবং তৃতীয় ধাপে খোকনের নাকের রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি করা হবে। এটাতে বুকের পাঁজরের হাড় থেকে নাক তৈরি করা হবে। সর্বশেষ ধাপের অপারেশন হতে পারে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ও মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান অপারেশনের পর খোকনের সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছেন। খোকন চন্দ্র বর্মন তার জন্য দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন।
মন্তব্য করুন