সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশের কপি হাতে পেলেই তারেকের ভিডিও অপসারণে কাজ শুরু হবে বলে দৈনিক কালবেলাকে জানিয়েছেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। তবে কপি পাওয়ার আগেই ‘হোমওয়ার্ক’ করে রাখা হচ্ছে বলেও জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
গত সোমবার (২৮ আগস্ট) তারেক রহমানের সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ থেকে ওই আদেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের কাছে জানতে চাইলে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, না। নির্দেশনার কোন কপি আমি এখনও পাইনি। নির্দেশনা পেলেই তো কাজ করবো। নির্দেশনা পেলেই আমরা সাথে সাথে কাজ করবো। প্রাথমিকভাবে আমরা আমাদের হোমওয়ার্ক করে রাখছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় বিএনপি’র তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য বিবৃতি প্রচার বা প্রকাশ নিষিদ্ধ করে প্রথম নির্দেশনা দেন। তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইনে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারিত হওয়ায় সেগুলো সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের শুনানিতে বিটিআরসি’কে সেগুলো সরানোর নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।
মন্তব্য করুন