২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে স্বাভাবিক নিয়মে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে আনুষ্ঠানিক উত্তরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনাগুলো চিহ্নিত করে ইতোমধ্যে সহজ উত্তরণ কৌশল (এসটিএস) প্রণয়ন করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে স্বাভাবিক নিয়মে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে আনুষ্ঠানিক উত্তরণের।
তিনি বলেন, বাণিজ্যিক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লজিস্টিকস্ খাতের উন্নয়নসহ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং বাণিজ্য সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোটের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ নিয়ে দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এলডিসি সুবিধা হারানোর ফলে রপ্তানি খাতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার কমে যাবে, যা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি করছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক ও চামড়াজাত পণ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন