চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের চায়না ওয়ার্ল্ড হোটেলে গত ১১ জুন অনুষ্ঠিত হলো জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) আয়োজিত এশিয়ান মেয়রস ফোরাম। এবার ফোরামের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সহযোগিতামূলক উদ্ভাবন : একটি নিম্ন-কার্বন নিঃসরণ ও টেকসই ভবিষ্যতের শহর নির্মাণ।’
এই আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ফোরামে টেকসই নগর উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো এবং নগর শাসনে উদ্ভাবনী ভূমিকার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
ফোরামের উদ্দেশ্য ছিল শহরগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, কম কার্বন নিঃসরণ নিশ্চিত করতে উন্নয়ন কৌশল ভাগ করে নেওয়া এবং প্রযুক্তি ও অর্থায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে শহরগুলোকে সহায়তা করা। এবারের আয়োজনের আয়োজক ছিল ইউএনডিপির চীনে অবস্থিত প্রতিনিধিদপ্তর।
এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা ১৬টিরও বেশি শহরের মেয়র, শহর প্রশাসক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা এই ফোরামে অংশগ্রহণ করেন।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির চীনে নিযুক্ত প্রতিনিধি বেয়াতে ট্রাংকমান উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেছেন, ‘শহরগুলোকে নেতৃত্ব, সহযোগিতা এবং অর্থায়নের কাঠামোতে নতুন চিন্তা নিয়ে এগোতে হবে, যাতে তারা টেকসই উন্নয়নের পথ তৈরি করতে পারে। শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদ্ভাবনী শাসন ব্যবস্থাই শহরকে গতি ও স্থিতিশীলতা দিতে পারে।’
ফোরামের মূল পর্বে প্রধান বক্তৃতা ইন্টার্যাক্টিভ প্যানেল আলোচনা ও মেয়র সংলাপ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অংশগ্রহণকারী শহরগুলোর মধ্যে ছিল- উলানবাটর (মঙ্গোলিয়া), বেইজিং (চীন), সিউল (দক্ষিণ কোরিয়া), সিঙ্গাপুর, ললিতপুর (নেপাল), কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া), কলম্বো (শ্রীলঙ্কা), সুভা (ফিজি), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (বাংলাদেশ), মালে (মালদ্বীপ), নমপেন (কম্বোডিয়া) এবং ভিয়েনতিয়েন (লাওস)।
এ ছাড়াও, ফোরামে অংশ নেন জাতিসংঘ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএন ইএসসিএপি), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইউএনসিটিএডি, সিটি নেট, চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, আরআইসিএস ও আরুপ-এর প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন ৫শ’রও বেশি আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারী।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের এই অংশগ্রহণ দেশের নগর উন্নয়ন প্রচেষ্টার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যা আগামী দিনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার নতুন দ্বার উন্মোচনে ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন