বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৬৪ জন।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের তালিকা দেওয়া হয়।
তালিকা অনুযায়ী, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আহত ৮ জন, নিহত নেই; জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আহত ৭০, নিহত ২; সিএমএইচ-ঢাকায় আহত ১৪ ও নিহত ১১; কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালে আহত নেই নিহত ২; উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে আহত ১১ ও নিহত ২; উত্তরা আধুনিক হসপিটালে আহত ৬০ ও নিহত ১; উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল আহত ১, নিহত নেই।
এর আগে, সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল এবং মাত্র ১২ মিনিট পর এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।
এদিকে রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২১ জুলাই) এক শোক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে আজ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।
ড. ইউনূস বলেন, এই দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ। আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সব কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ প্রদান করছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে।
মন্তব্য করুন