কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০২:০৩ পিএম
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘অপুকে নির্যাতন করে উপদেষ্টার নাম বলানো হয়েছে’

জানে আলম অপুর স্ত্রী আনিসা (বামে) এবং জানে আলম (ডানে)। ছবি : ভিডিও থেকে সংগৃহীত
জানে আলম অপুর স্ত্রী আনিসা (বামে) এবং জানে আলম (ডানে)। ছবি : ভিডিও থেকে সংগৃহীত

এবার আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন গ্রেপ্তার হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত নেতা জানে আলম অপুর স্ত্রী আনিসা।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এ সাক্ষাৎকারে তিনি নানা বিষয় তুলে ধরেন।

আনিসা বলেন, আমি গত ২৬ জুলাই তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত চুপ ছিলাম। এ কয়দিন আমি দেশের মানুষে কথাবার্তা শুনেছি, মিডিয়া ট্রায়াল দেখেছি। কিন্তু সত্যটা আসলে আড়ালেই থেকে গেল। আমি সত্যটা উন্মোচন করতে চাই।

তিনি বলেন, জানে আলম অপু অসহায় একটা ছেলে। ওর বাবা-মা কেউ নেই, ওকে ব্যাকআপ দেওয়ারও কেউ নেই। ওর বুকে শুধু সাহস ছিল, দেশের জন্য কিছু করবে এই স্পৃহা ছিল।

অপুর স্ত্রী জানান, গ্রেপ্তার হওয়ার আগে গোটা একটা রাত অপু অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। বেআইনিভাবে সারারাত তাকে রেখে মানিসিক অত্যাচার করা হয়েছে। ভিডিও ক্লিপ বানিয়ে, কেটে কেটে জোড় লাগিয়ে এখন ছাড়া হচ্ছে।

আনিসা প্রশ্ন রাখেন, এতদিন কেন এগুলোর সামনে আসেনি? এখন কেন এই ভিডিওগুলো প্রকাশ করা হচ্ছে? এগুলোর উদ্দেশ্য কী? এগুলোতে কার লাভ হইতে পারে?

তিনি আর জানান, অপুকে তুলে নিয়ে যায় একজন রাজনৈতিক নেতা। তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়, কোথায় রাখা হয়, তার সঙ্গে কী করেছে সব প্রমাণই আমার কাছে আছে।

অপুর স্ত্রী জানান, এসব কিছুর উদ্দেশ্য ছিল একটাই যেন এক উপদেষ্টার নাম নিয়ে আসা। অপু কিন্তু কোথাও বলে নাই একজন উপদেষ্টা তাকে চাঁদার টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছে। চার দিন রিমান্ডে যখন ছিল তখন পুলিশ বিভিন্নভাবে ওকে ব্ল্যাকমেইল করেছে শুধু একটা নাম প্রকাশ করার জন্য। সেটা হচ্ছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি জানান, এ নামটা স্বীকার করানোর জন্য অপুকে দুই হাজার পুলিশ হত্যা মামলার আসামি করানোর হুমকিসহ নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এতদিন যত ঘটনা ঘটেছে সবই হচ্ছে একজনকে ফাঁসানোর জন্য, তিনি হচ্ছে আসিফ মাহমুদ। ওনার নামটা নিলে যার স্বার্থ হাসিল হতে পারে তাদেরই এই কাজ।

আনিসা বলেন, আমি যখন ৮ আগস্ট অপুর সঙ্গে দেখা করি তখন ছেলেটা কান্না করে করে বলেছে, আমার হাতে আসলে কিছুই ছিল না। আমার অবস্থা এমন ছিল যে, তখন যদি আমাকে বলে আমি মার্ডার করছি তাহলে আমার তা স্বীকার করতে হতো।

আনিসা আরও বলেন, আমি এতদিন অপুর কথা ভেবে চুপ করে ছিলাম। এখন দেখি সমস্যা বেড়েই যাচ্ছে। এখন আর সহ্য করা যাচ্ছে না, চুপ করে বসেও থাকা যাচ্ছে না। আমার জীবনের নিরাপত্তা নেই, আমার স্বামীর জীবনেরও নিরাপত্তা নেই। আমি চাই এসব কিছু বন্ধ হোক। আমার যদি এখন কোনো ক্ষতি হয় বা আমার স্বামীকে অন্য কোনো মামলা ফাঁসানো হয় আমি কিন্তু চুপ করে থাকব না। আমার কাছে সব কিছুর প্রমাণ আছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের চুক্তির মেয়াদ বাড়ল

আইনি ভিত্তি দিয়ে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে হবে : খেলাফত মজলিস

যাদের হজে নেওয়া যাবে না, জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা

সালাহউদ্দিন কাদেরের ফাঁসি, জুডিসিয়াল মার্ডার : হুম্মাম

পদ্মার পানি বিপৎসীমায়, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

পাথর লুট : পরকালে দেওয়া হবে যে ভয়াবহ শাস্তি

দুই সন্তানের বাবাকে শিশু দেখিয়ে জামিনে মুক্তি

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

রাজধানীতে ফানুস ওড়ানোতে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা

বাইডেনের ছেলেকে মামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্পের স্ত্রী

১০

দীর্ঘ বিরতির পর ফিরছেন রুবেল

১১

মেঘনায় ১৮ হাজার বস্তা সিমেন্টসহ ডুবল লাইটার জাহাজ

১২

প্রতারণার অভিযোগে ফের বিপাকে রাজ-শিল্পা

১৩

ক্লাব বিশ্বকাপের বোনাসের অংশ জোতার পরিবারকে দেবে চেলসি

১৪

জবির নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে মেডিকেল কার্যক্রম চালুর আবেদন

১৫

যারা নির্বাচন করবেন, তারা কেন সরকারে : রাশেদ খান

১৬

বঙ্গতে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’

১৭

সরকারি চাকরিজীবীদের ৪২ ধরনের আয় করমুক্ত

১৮

সুপার কাপ ফাইনালে ফিলিস্তিনি শিশুদের পক্ষে উয়েফার ব্যানার

১৯

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির খবর শুনে কোমা থেকে জেগে উঠলেন তরুণী

২০
X