এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা গতবারের চেয়েও নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা গতবারের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া সরকারি অনুদানও গত বছরের চেয়ে এক কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। গত বছর দুর্গাপূজায় পূজামণ্ডপগুলোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চার কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল। এবার তা বৃদ্ধি করে পাঁচ কোটি টাকা করা হয়েছে। এরপরও দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য কোনো প্রয়োজন থাকলে সরকারের পক্ষ থেকে তা মেটানো হবে। তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের মেয়াদকালে দুর্গাপূজায় মাত্র ২ কোটি টাকা করে অনুদান দেওয়া হতো।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে কোনো ধরনের হুমকি নেই জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। তাছাড়া পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের জন্য ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতারা, পুণ্যার্থী, দর্শনার্থী, পূজা উদযাপন কমিটিসহ সাধারণ জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, পূজার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) চালু করা হয়েছে। এই অ্যাপের সহায়তায় যে কোনো ঘটনা ঘটলে এর তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা সরকারের কাছে চলে আসবে। মোদ্দাকথা, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা পূজা মনিটরিং করা হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, দুর্গাপূজা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এ পূজায় শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বী নয়, অন্যান্য ধর্মের লোকজনও পূজা দেখতে আসেন। তাই সবাই মিলে এর পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে।
ব্রিফিংয়ে রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বৈদ্য, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তরুণ দে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বসু, কল্যাণ ফ্রন্টের নেতা উত্তম সরকার, তপন কুমার বসু (মিন্টু) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন