হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ জানান, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিজিবি।
শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম।
শরীফুল ইসলাম জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরে কার্গো সেকশনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ২ প্ল্যাটুন বিজিবি যোগ দিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে ৩০ ইউনিট কাজ করছে। এ ছাড়া আরও ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছে। এ ছাড়া নৌ ও বিমানবাহিনীও কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তাহলা বিন জসিম জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার ও ক্ষয়ক্ষতির কারণ জানা যায়নি। এ ছাড়া হতাহতের বিষয়ে এখনো কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ লাগা আগুনের তীব্রতা বাড়ছে। এই অবস্থায় বিমান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। আর নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকাগামী কয়েকটি ফ্লাইট বিকল্প রুটে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে একাধিক ফ্লাইট চট্টগ্রাম ও কলকাতায় অবতরণ করেছে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও ট্যাক্সিওয়েতে আটকে আছে।
শনিবার বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরগামী বাটিক এয়ারের ওডি–১৬৩ ফ্লাইট এবং ঢাকা থেকে মুম্বাইগামী ইন্ডিগোর ৬ই-১১১৬ ফ্লাইট ট্যাক্সিওয়েতে অপেক্ষা করছে। ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আসা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি অবতরণ করেছে চট্টগ্রামে। দিল্লি থেকে ঢাকা আসা ইন্ডিগোর ফ্লাইট অবতরণ করেছে কলকাতায়। এয়ার এরাবিয়ার শারজাহ থেকে ঢাকা আসা ফ্লাইট চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। হংকং থেকে ঢাকা আসা ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইনসের বিমানটি অবতরণ না করতে পেরে আকাশে চক্কর দিচ্ছে। আগুনের পরিস্থিতি ও নিয়ন্ত্রণের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে উড্ডয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ ছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সৈয়দপুর থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ না করে চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। একইভাবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের পর পুনরায় চট্টগ্রামে ফিরে গেছে।
এর আগে বেলা আড়াইটার পর আগুন লাগার এ ঘটনা ঘটে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।
মন্তব্য করুন