রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। এ ঘটনায় চার হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মঈনুল আহসান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালকে সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন আগে। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে আগুন জ্বলছিল। সরজমিনে দেখা গেছে, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা লেডারের সাহায্যে আগুনে পানি দিচ্ছিলেন। এদিকে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করছিলেন। আগুন কার্গো ভিলেজের পুরো ভবনে ছড়িয়ে যায়। এদিকে আগুন লাগার পর বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনাস্থলে ঢাকার ১৩টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। সন্ধ্যার পর থেকে কার্গো ভিলেজের পাশে কুরিয়ার সার্ভিসের আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের (হ্যাঙ্গার গেট) পাশে দাউ দাউ করে জ্বলছিল আগুন। এই আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে, বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, কার্গো ভিলেজে পাশে স্কাই ক্যাপিটাল (বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ করে) ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাঝের পয়েন্টে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেখানে কর্মরত সদস্যরা আগুন দেখে দ্রুত বের হতে শুরু করেন। এরপর তারা বিভিন্ন জায়গাতে ফোন করে বিষয়টি জানান। এরপর কার্গো ভিলেজের সামনে যেসব উড়োজাহাজ ছিল সেগুলো দ্রুত সরিয়ে নিরাপতে নেওয়া হয়।
এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৫ জনের মতো আহত হওয়ার খবর দিয়েছে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর তরফ থেকে।
মন্তব্য করুন