হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমানবন্দরে কর্মরত এক কফিশপ স্টাফ এবং যাত্রীকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এএপবি)। এ সময় তাদের কাছে পাঁচ পিস গোল্ডবার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের এডিশনাল এসপি মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে বেলায়েত মোল্লা ঢাকায় অবতরণ করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, বেলায়েত বিমান থেকে নামার পর থেকেই নজরে রাখছিল এপিবিএন। এ সময় তিনি আগমনী ইমিগ্রেশনে না গিয়ে ওপরে ডিপার্চার এলাকায় প্যাসেঞ্জার ওয়েটিং এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। ফোনে যোগাযোগ করেন এরোস নামের কফিশপের স্টাফ জাভেদের সঙ্গে।
বেলায়েতের সঙ্গে থাকা গোল্ডবারগুলো জাভেদকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বের করে নেওয়ার জন্য হ্যান্ড ওভার করার পর এরাইভাল ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শুরু করেন। কফিশপ এরোসের স্টাফ জাভেদ এ সময় গোল্ডবারগুলো নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে কাস্টমস চ্যানেলের পর দুপুর ১২টায় তাকে আটক করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন গোয়েন্দা দল।
এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বর্ণ পাচার চেষ্টায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং যাত্রীর পরিচয়ও নিশ্চিত করে। পরে যাত্রীও কাস্টমস গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করলে তাকে আটক করা হয়। এসময় দুজনেই যোগসাজশে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টার কথা স্বীকার করেন। তাদের তল্লাশি করে ৫টি গোল্ডবার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ৬৭৯ স্বর্ণ পাওয়া যায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫৩ লাখ টাকা।
জাভেদ জানান, প্রতিটি গোল্ডবার পাচারে সহায়তায় তিনি ৫ হাজার টাকা করে পান। বেলায়েত মোল্লার পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি একজন ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ার। প্রতিমাসেই তার দুবাই যাওয়া আসার প্রমাণ পাওয়া যায়।
বেলায়েত মাদারীপুরের কালকিনির এবং কফিশপ স্টাফ জাভেদ ঢাকার মিরপুরের অধিবাসী। উভয়ের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন