কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কাছে বেবিচকের পাওনা ১২২৩ কোটি টাকা

বেবিচকের লোগো।
বেবিচকের লোগো।

দেশের চারটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পাওনা ১ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিনটি এয়ারলাইন্সই বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বন্ধ এ তিনটি এয়ারলাইন্সের কাছে পাওনা এক হাজার ১৯২ কোটি টাকারও বেশি। বেবিচকের এসব পাওনা আদায়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আশেক উল্লাহ, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশ নেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, দেশীয় বেসরকারি এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলোর কাছে বেবিচক কত টাকা পায়, তা জানতে চেয়েছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। গতকালের বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেয় বেবিচক। বেবিচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বেসরকারি এয়ারলাইন্স হিসেবে নভো এয়ার, ইউএস-বাংলা ও এয়ার এস্ট্রা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গত মে পর্যন্ত হিসেবে ইউএস বাংলা ও এয়ার এস্ট্রার কাছে কোনো পাওনা নেই। অন্যদিকে বন্ধ হয়ে যাওয়া রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও জিএমজি এয়ারলাইন্স এবং কার্যক্রম চালু থাকা নভোএয়ারের কাছে বেবিচকের মোট ১ হাজার ২২২ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে।

সংসদীয় কমিটিতে বেবিচকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের পাওনা আছে ৪০৮ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকারও বেশি। জিএমজি এয়ারলাইনসের কাছে পাওনা আছে ৩৯৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বেশি। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচক পাবে ৩৮৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বেশি। আর নভো এয়ারের কাছে পাওনা আছে প্রায় ২৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। বৈঠক থেকে বেবিচকের এসব পাওনা আদায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

এদিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংস্কার কার্যক্রম তদন্তে সঠিক সাব কমিটির প্রতিবেদন কমিটির আগের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে তা কার্যবিবরণী আকারে উপস্থাপিত হয়। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়, সংস্কার কাজে বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন ছিলো না। সরকারি অর্থ অপ্রয়োজনে নির্দিষ্ট কিছু লোকের সুবিধার জন্য ব্যয় করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২৬ বর্গমিটারের রুম বাড়িয়ে ৪০ বর্গমিটার করা হয়েছে। এতে ২৭২ টা রুমের মধ্যে ৪৬টি কমে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৬টি হয়েছে। এটি দরকার ছিলো না বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

এ ছাড়া বৈঠকে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে শহরে প্রবেশের সড়কটি জরুরি ভিত্তিতে প্রশস্ত করা এবং সেন্ট মার্টিনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, সমুদ্রসৈকতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং পারস্পরিক সমন্বয় রেখে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করে কমিটি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অটোরিকশা কোথায় কীভাবে চলবে নির্দেশনার পর ব্যবস্থা : ডিএমপি

এপেক্সে অফিসার পদে চাকরির সুযোগ

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত / ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা নিয়ে জল্পনা

২০০ বগি কিনতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রেলের চুক্তি স্বাক্ষর 

ছাত্রলীগ নেতাকে বেধড়ক কোপাল দুর্বৃত্তরা

অবৈধ সম্পদ অর্জনে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গরু ও কার্পেট ব্যবসার আড়ালে করত ইয়াবা ব্যবসা

ঘুরে ঘুরে শিশু অপহরণ, মুক্তিপণ না দিলেই বিক্রি

রেলের কর্মকর্তারা স্লো : জিল্লুল হাকিম

বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন

১০

ঢাকায় প্রাইভেটকারে আগুন 

১১

কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

১২

নীতি সহায়তার অভাবে বিকশিত হচ্ছে না দেশীয় কসমেটিকস খাত

১৩

এলাকার উন্নয়নে আমাকে ব্যবহার করুন : সাবেক মন্ত্রী রুহুল হক

১৪

মাতৃত্বের স্বাদ পেলেন ইয়ামি

১৫

ইরানের নতুন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বললেন পুতিন

১৬

থাইল্যান্ডে বুদ্ধ পূর্ণিমা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পাঠ করলেন বিপ্লব বড়ুয়া

১৭

আবুল মনসুর আহমদ-অধ্যাপক মযহারুল ইসলামের স্মরণে একক বক্তৃতা

১৮

শোরুম ম্যানেজার নেবে যমুনা গ্রুপ, পদ ৩০

১৯

ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্র-বৃষ্টির শঙ্কা

২০
X