সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানি নিয়ে মিথ্যা প্রচারের অভিযোগে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তদন্তে দেখা গেছে, সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে খাসির মাংসই ছিল। কুকুর-বিড়ালের মাংস ছিল না।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রভুক্ত দুই ব্যক্তি হলেন- কনক লায়লা ও আবদুল হাকিম। তারা বেসরকারি যমুনা ব্যাংকের খণ্ডকালীন কর্মকর্তা ছিলেন।
গত ৩ এপ্রিল কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসের পরিবর্তে কুকুর-বিড়ালের মাংস দেওয়ার মিথ্যা প্রচারের অভিযোগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি মামলা করেন সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ। পরে আদালত এ অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দিল পিবিআই।
পিবিআইর অভিযোগপত্রে বলা হয়, সুলতান’স ডাইন খাসির মাংসের কাচ্চি বিরিয়ানিই সরবরাহ করেছিল। কনক লায়লা ও আবদুল হাকিম ইচ্ছাকৃতভাবে এই প্রচার চালিয়েছিলেন যে, কাচ্চিতে খাসির মাংসের বদলে কুকুর-বিড়ালের মাংস খাওয়াচ্ছে সুলতান’স ডাইন।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম উদ্দিন গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তদন্তে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসই ছিল। কিন্তু কনক লায়লা ও আবদুল হাকিম সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানিতে কুকুর-বিড়ালের মাংস আছে বলে অপপ্রচার চালান, যা দণ্ডনীয় অপরাধ। মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।’
সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা সুনামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছি। আমাদের ঢাকা শহরে নয়টি শাখা আছে। চট্টগ্রামে আছে আরও দুটি শাখা। অথচ আমাদের কাচ্চি বিরিয়ানি নিয়ে কনক লায়লা ও আবদুল হাকিম মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন। এতে সুলতান’স ডাইনের ব্যবসায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।’