কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩, ০১:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. ইউনূসের বিচার শুরু

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পুরোনো ছবি
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পুরোনো ছবি

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় নোবেলজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত এ আদেশ দেন। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ৩১ মে আদালত কর ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রায় ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করতে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নির্দেশ দেন। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সেই সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা খারিজ করে দেন আদালত।

আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, ২০১১-১২ থেকে ২০১৩-১৪—এ তিন অর্থবছরে নিজের নামে গঠিত দুটি ট্রাস্ট ও একটি প্রতিষ্ঠানে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা স্থানান্তর করেন। আয়কর নথিতে বলা হয়েছে, এ টাকা মৃত্যুভীতি থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে দান করেন তিনি। ওই দিন উচ্চ আদালত জানান, ব্যক্তি ও পারিবারিক স্বার্থে ট্রাস্ট গঠন করেছেন ড. ইউনূস, মৃত্যুভীতি থেকে সেই ট্রাস্টে টাকা দান অকল্পনীয়। ফলে দানকর অব্যাহতি পাবেন না তিনি। পরিশোধ করতে হবে রাষ্ট্রের পাওনা প্রায় ১২ কোটি টাকা। রায়ে বলা হয়, তিন মামলায় ড. ইউনূসের কর ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১-১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে ইউনূসকে নোটিশ পাঠায় এনবিআর। একইভাবে ২০১২-১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং ২০১৩-১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা দানকর চেয়ে আরও দুটি নোটিশ দেওয়া হয় তাকে। এনবিআরের সেসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কর আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ইউনূস। ২০১৪ সালে কর আপিল ট্রাইব্যুনাল তার মামলা খারিজ করে এনবিআরের পক্ষে রায় দেন। এরপর হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন ইউনূস, যার রায়ও তার বিপক্ষে গেল। আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এই আবেদন করার সময় তিন কোটি টাকা জমা দিতে হয়েছিল ইউনূসকে। হাইকোর্টে মামলা হারায় বাকি ১২ কোটি টাকাও তাকে পরিশোধ করতে হবে। ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। এ-সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা বিচারাধীন উচ্চ আদালতে। এ ছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কল্যাণ ট্রাস্টের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউনূসকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বরগুনায় কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়া গাছ রোপণ

এইচএসসি পরীক্ষায় আমিরাতে বাংলাদেশি দুই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য 

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পালক কোন পাখির?

চাঁদপুরে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপযাপন / সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিকদের লেখনীর বিকল্প নেই : সলিম উল্লাহ

লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা

ফ্যাসিস্টদের আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না : সালাহউদ্দিন

লালমনিরহাটে আনন্দঘন পরিবেশে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

কালবেলার সংবাদ পাঠকদের কাছে সহজবোধ্য ও গ্রহণযোগ্য : জেলা ম্যাজিস্ট্রেট

সংসদ ভবনে ঢুকে পড়া জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টায় পুলিশ 

বিশ্বকাপের শেষ ট্রেন ধরল আমিরাত, চূড়ান্ত ২০ দলের তালিকা প্রকাশ

১০

সার কীটনাশক সিন্ডিকেটের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে : ফারুক হাসান

১১

যেসব জায়গায় ফোন রাখলেই ক্যানসার ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে

১২

সুনামগঞ্জে কালবেলার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৩

ফিলিপাইনে আবারও আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প

১৪

নাটোরে কালবেলার তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন

১৫

কসবায় উৎসবমুখর পরিবেশে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৬

বৃষ্টি-তাপমাত্রাসহ আবহাওয়া অফিসের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস

১৭

যমজ সন্তান কেন হয়, যা বলছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ

১৮

জাতীয় ঐক্যের নামে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে : নাহিদ

১৯

ফের হামলার শিকার কপিল শর্মা

২০
X