এখন থেকে বিমানের ফ্লাইটে ‘মুক্তা পানি’ সরবরাহ করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ‘মুক্তা ন্যাচারাল ড্রিংকিং ওয়াটার’ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে মৈত্রী শিল্পের একটি পণ্য। ‘মৈত্রী শিল্প’ প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠিত একটি কোম্পানি।
বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে মুক্তা পানির ব্যবহার আগেই শুরু হলেও বিমানের ফ্লাইটে এতদিন বেসরকারি কোম্পানির পানি সরবরাহ করে আসছিল বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসি)।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম কালবেলাকে বলেন, বুধবার থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে ব্যবহারের জন্য মুক্তা পানির বোতল সরবরাহ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটেও এই পানি সরবরাহ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর এই পানি ভিভিআইপি ফ্লাইটেও সরবরাহ করা হবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বিমানের ফ্লাইটে মুক্তা পানির বোতল ব্যবহারের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি অনুরোধ ছিল। সেই প্রেক্ষিতে বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার আইসিডিডিআরবি থেকে ওই পানির গুণমান পরীক্ষা করা হয়। আইসিডিডিআরবি’র মুক্তা পানি মানুষের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত বলে প্রতিবেদন দিয়েছে। এরপর বুধবার থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে এই পানি ব্যবহার শুরু হয়।
বিমান কর্মকর্তারা বলছেন, ফ্লাইটে যাত্রীদের জন্য ২৫০ মিলির বোতল সরবরাহ করা হবে। তবে এর মান নিয়ন্ত্রণ করবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিমান ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসি)। বোতলের গায়ে ‘বিএফসি’ লেভেল থাকবে।
মন্তব্য করুন