‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২৩’-এর খসড়া আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফেরত পাঠিয়েছে মন্ত্রিসভা। বিষয়টিতে অংশীজনদের আরও মতামত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত সোমবার অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাশেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনটির বিষয়ে মন্ত্রিসভা থেকে বলা হয়েছে, এটি আরও পরীক্ষা করা দরকার। অংশীজনদের আরও মতামত লাগবে। যে কারণে আইনটি ফেরত পাঠানো হয়েছে।’
২০০৫ সালে পাস হওয়া ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনে প্রথমবার সংশোধন আনা হয় ২০১৩ সালে। গত বছর ওই আইনে আবারও সংশোধনীর প্রস্তাব দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
খসড়াটি উপস্থাপন করা হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে। তখনই অভিযোগ ওঠে খসড়া প্রণয়নে অংশীজনদের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে। খাতসংশ্লিষ্ট ও পর্যাপ্ত অংশীজনদের মতামত নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ী সংগঠনসহ একাধিক সংগঠন গত বছর থেকেই নিজেদের দাবি তুলে ধরে। পরে আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে মন্ত্রিসভা খসড়াটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফেরত পাঠিয়ে দেয়। খসড়ায় পাবলিক প্লেসে ধূমপানের শাস্তি ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সিগারেটের প্যাকেটে ৯০ ভাগ স্থানজুড়ে ধূমপানের ক্ষতি তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ দোকান বা ফেরি করে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতার কর্মসূচি’তে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রস্তাবে।
হোটেল- রেস্তোঁরা, খাবার দোকান, কফি হাউসের সঙ্গে চায়ের দোকানকেও পাবলিক প্লেসের আওতায় আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাবলিক প্লেস বা পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট করা এলাকা বাতিল এবং পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে সিগারেটের সঙ্গে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারও নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত হয়েছে ওই খসড়ায়।
মন্তব্য করুন