প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্ট পুলিশিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ পেলেন পুলিশ পরিদর্শকরা। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে দুই সপ্তাহব্যাপী ওই প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ হয়। ‘কোর্স অব স্মার্ট পুলিশিং’ নামের ওই প্রশিক্ষণে বিভিন্ন ইউনিটের ৬০ জন পরিদর্শক মর্যাদার কর্মকর্তা অংশ নেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে স্মার্ট পুলিশিংসংক্রান্ত এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কোর্স। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা স্মার্ট পুলিশিং বিষয়ে যে ধারণা লাভ করেছেন, তা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগে সক্ষম হবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্মার্ট পুলিশ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন, সে উদ্যোগের সারথী হিসেবে পুলিশ আন্তর্জাতিকমানের পুলিশি সেবা প্রদানে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট পুলিশিং চর্চার মাধ্যমে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সেবাদানকারী সংস্থা হিসেবে পুলিশ সরকার ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৈশ্বিক পুলিশের মতো অপরাধ ব্যবস্থাপনা, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পুলিশিং কার্যক্রমে পরিচালনায় সক্ষম হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভাইস রেক্টর মো. রেজাউল হক বলেন, অধুনা বিশ্বে পুলিশিং কার্যক্রম চালাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যার প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে প্রতিকার ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা সম্ভব। বিশ্বজুড়ে স্মার্ট পুলিশিংয়ের উত্তম চর্চাগুলো থেকে বাংলাদেশ পুলিশ অনুপ্রেরণা পেতে পারে।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র ডিরেক্টর স্টাফ (এএন্ডআর) এস এম আক্তারুজ্জামান বলেন, পুলিশের কাজে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। এটি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন স্মার্ট জনবল, প্রযুক্তি ও পুলিশের সমন্বয়।
কলেজের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র ডিরেক্টর স্টাফ (প্রশিক্ষণ) ড. এ এফ এম মাসুম রাব্বানী। তিনি এ ধরনের প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি, নিয়মিতকরণ এবং সব পদবির কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
মন্তব্য করুন