ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের ওপর হামলা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যকে দায়িত্বহীন আখ্যায়িত করে তার কাছে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ফয়জুল করিমের পক্ষে সিইসিকে এ নোটিশ পাঠান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল বাসেত।
নোটিশে বলা হয়, গত ১২ জুন বরিশাল নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউনিয়া মেইন রোডের এ কাদের চৌধুরী স্কুল কেন্দ্রে হাতপাখার ভোটার এবং মানিক মিয়া স্কুল কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার বিষয়ে হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী সেখানকার দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার ও প্রশাসনকে মৌখিকভাবে অবহিত করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং নৌকার সমর্থক ও কর্মীরা হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী ও তার কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে অবহিত করলে সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। এরপর দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী বরিশাল নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ২৭ নম্বর কেন্দ্র ‘সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ ভোটকেন্দ্রে পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখেন যে, নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা ভোট কক্ষে ঢুকে ভোটারদের বলেছে যে, নৌকায় ভোট দিলে দাও না দিলে চলে যাও- ওই বিষয়টি হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারকে জানান। এর পরপরই নৌকা প্রতীকের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন কর্মী ফয়জুল করিম ও তার সঙ্গীয় কর্মীদের ওপর হামলা করে। এ সময় হামলায় গুরুতর জখম হন ফয়জুল করিম। ঘটনাটি ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে।
অথচ, এ বিষয়ে কোনোরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি নির্বাচন কমিশন। এ ব্যর্থতার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশন দায়ী। তা ছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ইসি।
এদিকে এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বরং সাংবাদিকদের সামনে বিষয়টি এড়িয়ে যান। অথচ ভোটকেন্দ্রের ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলে ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে। আর ফয়জুল করিমের ওপর হামলা ও রক্তাক্ত করার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন সিইসি বলেন, এটা আপেক্ষিক। রক্তাক্ত সবকিছু আপেক্ষিক ‘উনি কি ইন্তেকাল করেছেন? আমরা দেখেছি- না? উনি কতটা রক্তাক্ত হয়েছেন। উনার রক্তক্ষরণটা দেখিনি। যতটা শুনেছি- উনাকে কেউ পেছন থেকে ঘুষি মেরেছে।
মন্তব্য করুন