গুরুতর অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে সরকারের কাছে আহ্বান জানাবে কি না, তা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের (২৬ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলারকে এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ সময় ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদন উল্লেখ করে বলা হয়, চিকিৎসার জন্য বিদেশযাত্রায় সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে খালেদা জিয়া মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছেন।
জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচারিক প্রক্রিয়ায় আমাদের কিছু বলার নেই। তবে আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য অবস্থা মনিটরিং করছি। আমরা সরকারকে তার আইনি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের ব্যাপারে উৎসাহিত করছি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এ বিষয়ে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আইনি প্রক্রিয়া মোকাবিলা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে তার ভাইয়ের করা আবেদনে জটিলতা থাকায় তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তারা মতামত দিলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এ জন্য তাকে আইনি প্রক্রিয়া মোকাবিলা করতে হবে।
এর আগেও কয়েকবার তাকে বিদেশ চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়। তবে আবেদনে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। ফলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য জন হপকিন্সের তিন চিকিৎসক গত বুধবার ঢাকায় এসেছেন। তাদের মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস এবং অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর সাড়ে ১০টায় তারা এভারকেয়ার হাসপাতালে যান এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে কাজ শুরু করেন। রাত ২টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসেন অধ্যাপক হামিদ রব।
মার্কিন এ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। পেটে পানি আসা ও রক্তক্ষরণ বন্ধে তার শরীরে টিপস প্রতিস্থাপন করেন তারা। বর্তমানে তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন