কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৫৪ পিএম
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০২:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খাদিজাকে দেরিতে মুক্তি দেওয়ার ব্যাখ্যা দিল কারা কর্তৃপক্ষ

কাশিমপুর কারাগেটের সামনে খাদিজাতুল কুবরা। ছবি সংগৃহীত
কাশিমপুর কারাগেটের সামনে খাদিজাতুল কুবরা। ছবি সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা জামিনের পর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।

সর্বোচ্চ আদালতের জামিন আদেশের পরও পরীক্ষার আগের দিন কেন তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারেননি, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে ব্যাখ্যা জানানোর নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

এ বিষয়ে আপিল বিভাগে ব্যাখ্যা দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, সন্ধ্যার পর আসামি ছাড়ার নিয়ম নেই, তাই রোববার আদেশ পেয়েও কারামুক্ত করা যায়নি খাদিজাকে। পরে সোমবার সকাল ৯টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) খাদিজার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। পরে জামিন আদেশ কারাগারে আসতে সময় লেগে যায় ৩ দিন। গতকাল রোববার (১৯ নভেম্বর) রাতে আদালতের আদেশ কারাগারে আসে।

তার মুক্তির জন্য রোববার সারাদিন তার পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত খাদিজা মুক্তি না পাওয়ায় তাকে ছাড়াই তারা ফিরে যায়।

খাদিজার বোন সিরাজুম মুনিরা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কুরিয়ারের বাইকে করে সন্ধ্যা ৭টায় আদালতের আদেশ কারাগারে এসেছে আমি নিজে দেখেছি। এমনকি আমরা কুরিয়ারের লোকের সঙ্গে কথাও বলেছি। যখন জানতে চাইলাম কেন খাদিজাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না, তখন এক পুলিশ সদস্য এসে আমাদের বললেন যে তারা অন্যান্য সংস্থা এবং পুলিশের ছাড়পত্রের অপেক্ষা করছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার জন্য নাকি এ ছাড়পত্র লাগবে।

এর আগে গতকাল রোববার রাতে কাশিমপুর মহিলা কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার শাহজাহান গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তারা রাত সাড়ে ৮টায় আদেশ পেয়েছেন। সব কয়েদিকে যেহেতু তাদের সেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাই এই আদেশ প্রক্রিয়া করতে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা সোমবার তাকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করব।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানা পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে।

মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১১ মাস ধরে তিনি কারাগারে। ইতিমধ্যে তিনি দুই সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে পারেননি।

খাদিজার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ গত বৃহস্পতিবার বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সামনের নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় পরীক্ষা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘ডরে আমার ভয় কাঁপতেছে’, প্রেস সচিবের ‘রহস্যময়’ পোস্ট

ডিইউজের সভাপতি শহিদুল, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ পুনর্নির্বাচিত

ভারতে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, ব্যাপক ধরপাকড়

বুসকেটস–আলবার বিদায়ক্ষণে মেসির ‘আরেক ফিনালিসিমা’

ব্রাকসু নির্বাচনে ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স বাতিলের আবেদন

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার

খালেদা জিয়া নীতির প্রশ্নে আপস করেননি : খায়রুল কবির

বিশ্বকাপ ড্র ঘিরে আলোচনায় বাবা ভাঙার ‘উদ্বেগজনক’ ভবিষ্যদ্বাণী

ট্রাম্পকে দেওয়া ফিফা শান্তি পুরস্কারের কড়া সমালোচনায় নরওয়ে

১০

অহিংস ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শরীয়তপুর গড়ে তুলব : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

১১

বাবা হওয়ার পর মেহরাবের নতুন গানের ঘোষণা

১২

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা

১৩

নির্বাচনের তপশিল নিয়ে সভা রোববার

১৪

পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হলেন ১২০ চিকিৎসক

১৫

ছেলেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই চলে গেলেন গুম হওয়া ছাত্রদল নেতার বাবা

১৬

পূজা পরিষদ ও পূজা কমিটির মতবিনিময় / সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নির্বাচনের আগে-পরে এক মাস সেনা মোতায়েনসহ ৯ দাবি

১৭

‘এনসিপি সরকারে গেলে প্রাইভেট সেক্টরেও শুক্র-শনিবার ছুটি ঘোষণা করব’

১৮

নিজ ফ্ল্যাটেই মিলল নিখোঁজ স্কুল শিক্ষিকার লাশ

১৯

শিক্ষক সমাজই হচ্ছে একটি জাতির ভিত্তি : মান্নান

২০
X