আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশ বিভিন্ন মহল থেকে ‘অযাচিত, অযৌক্তিক ও আরোপিত রাজনৈতিক চাপের’ মুখোমুখি হচ্ছে দাবি করে জাতিসংঘের কাছে চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
গত মাসে জাতিসংঘ মহাসচিবের কার্যালয়ের প্রধান আর্লে কোর্টনে র্যাট্রের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে চিঠিটি মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের নির্বাহী কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বিরোধী দল ও তাদের মিত্ররা বিক্ষোভের নামে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি পোড়ানো এবং মানুষের জীবন পোড়ানো প্রধানমন্ত্রী সহ্য করবেন না বলেও জানানো হয়েছে।
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা ও সম্মান সমুন্নত রাখতে নির্দলীয়, সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখবেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহল থেকে আমরা যে অযৌক্তিক, অযাচিত ও স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছি, তার প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করি, জাতিসংঘের সচিবালয়, এজেন্সি ও কান্ট্রি অফিসসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন ব্যবস্থা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবিচল থাকতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ তার নাগরিকদের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রচার ও সুরক্ষায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী এবং আশাবাদী যে, জাতিসংঘ ব্যবস্থা জাতীয় পর্যায়ে সবার জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কাজ করে যাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন চিঠি পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় র্যাট্রের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় এবং বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর তিনি ওই চিঠি পাঠান।
মন্তব্য করুন