আবারও নৌকার কর্মী স্থানীয় ইউপি সদস্য আজম হালদারকে হুমকি দিয়ে আলোচনায় আসলেন খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন। মাত্র দুদিন আগে তার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষকে গুলির হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করেছেন রিটার্নিং অফিসার। এর মধ্যেই নতুন হুমকির একটি ভিডিও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আকরাম হোসেনের নির্বাচনী এলাকা খুলনার ফুলতলা ও ডুমুরিয়া এলাকায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা-৫ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ। নৌকা না পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন। এছাড়া ওই আসনে আরও কয়েকজন প্রার্থী থাকলেও মূলত নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট এই দুই প্রার্থীর মধ্যে। গত ২৬ তারিখে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় ভিডিওতে দেখা যায়, বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি নৌকা প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দর কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমাকে চিনিস না। তোদের এমন কাজ করব নারান বাবু কেন, তোদের বাপও ঠেকাতে পারবে না। দুটি গুলি করলেই যথেষ্ট।’ এ ভিডিওটি নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
তবে এরই মধ্যে ভাইরাল হওয়া নতুন ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আজম জানে না আমি কে। ওকে আমি অ্যাকেবারে ব্যাতের মতো সুজা করে দিবানে। যে বিপদ হবে সারা জীবনেও আর সিডা রক্ষা করতি পারবে না।’
পরে খুলনার রিটার্নিং অফিসার ও খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ওই ভিডিও ফুটেজটি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গঠিত ইলেক্ট্ররাল কমিটিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই নতুন ভিডিওতে দেখা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেনকে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আজম হালদার বলেন, আমি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করি, আমার আর কোনো অপরাধ নেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজেই। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।
তবে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কলটি রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন