একটি জাতিসত্তা নিশ্চিহ্ন করতে হলে সেই জাতির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে হয়। নতুবা সেই জাতির পুনর্জন্ম হয়। আর জাতির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষক, সাহিত্যিক ও কবি। তাই পাকিস্তানি সামরিক জান্তা একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে বাছাই করে ধারাবাহিকভাবে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষক, সাহিত্যিক ও কবিদের হত্যা করে। যেন বাঙালি জাতি কখনও নিজস্ব সত্ত্বায় দাঁড়াতে না পারে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ‘হৃদয়ে রবে প্রেরণায়’ স্লোগানকে ধারণ করে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত সেমিনারে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ সেমিনারে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। আলোচনা করেন শহিদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের সন্তান জাহিদ রেজা নূর ও শহিদ সাংবাদিক শিবসাধন চক্রবর্তীর সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা তরুণ তপন চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর পরিচালক (প্রশাসন)চলতি দায়িত্ব মো. জাকির হোসেন, প্রকাশনা ও ফিচার বিভাগের সহযোগী সম্পাদক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক চলতি দায়িত্ব শেখ মজলিশ ফুয়াদ এবং গবেষণা ও তথ্য সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক অতিরিক্ত দায়িত্ব ড. কামরুল হক।
জাফর ওয়াজেদ বলেন, যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যম ছিল অবরুদ্ধ। তারপরও সাংবাদিকরা বিভিন্ন পন্থায় মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করে জনমনে আস্থার সঞ্চার করছেন। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু সাংবাদিকের গুপ্তচরবৃত্তির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া যুদ্ধের সময় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া শিক্ষক এবং অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের কথা বলেন। নতুন প্রজন্মকে তিনি ইতিহাসের পাঠোদ্ধারের সহায়তায় জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধকালে শিল্পী সমাজের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন মহাপরিচালক।
সেমিনারটি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রশিক্ষক চলতি দায়িত্ব মোহাম্মদ শাহ আলমের সমন্বয়ে মোট ২৮ জন সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন