

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে ইতিহাস বিভাগের নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথি হিসেবে বয়কট করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ইংরেজি ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদ জানায়।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ইতিহাস বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্যকে বয়কট করা হয়। বয়কটের মুখে ইতিহাস বিভাগের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন চবির এ উপ-উপাচার্য।
এদিকে, শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে ‘অবান্তর’ বলে মন্তব্য করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন।
বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টায় ইতিহাস বিভাগের নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের। তবে, গতকাল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিষয়ে তার বিরূপ মন্তব্যের কারণে শিক্ষার্থীরা তাকে বয়কট করেছে। তবে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতারসহ এবং আরেক বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন কেউ যাননি।
এ বিষয় জানতে চাইলে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ ইমন বলেন, প্রোগ্রাম এখনো চলমান আছে। উপ-উপাচার্য আসেননি আমাদের প্রোগ্রামে। আমাদের বিভাগ কর্তৃক উপ-উপাচার্যের বিরূপ মন্তব্যের কারণে তাকে বয়কট করা হয়েছে। কিন্তু, উপাচার্য এবং আরেক উপ-উপাচার্য কেউ আসেনি।
উল্লেখ্য, উপ-উপাচার্যের বিরূপ মন্তব্যের কারণে প্রতিবাদ হিসেবে গতকাল রোববার বিবৃতি দিয়েছে ইতিহাস, অর্থনীতি ও ইংরেজি বিভাগ।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গতকাল সহ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘যে সময় আমি (পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী) দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছি, আমি জীবিত থাকবো, না মৃত থাকব সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি; সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’
মন্তব্য করুন