ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশে নির্বাচনের সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, দেশে আগামী ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন ‘নাটকের মঞ্চায়ন’ হতে যাচ্ছে সেটা কোনো নির্বাচনই না। নির্বাচনের যে সংজ্ঞা তার মধ্যেই এটা পড়ে না। কেননা ৩০০ আসনই নৌকার। তিনশত আসনই শেখ হাসিনার ইচ্ছাধীন। আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে নাটক ও অভিনব তামাশা করছে। ডামি প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিদ্রোহী ও নৌকার প্রার্থী সবই একাকার। ইতোমধ্যেই ফলাফল তৈরি হয়ে আছে, ৭ তারিখে শুধু ঘোষণা করা হবে। কোন আসনে কোন প্রার্থী কত ভোট পাবেন সেটিও নির্ধারণ হয়ে গেছে। যে সরকার জনগণের অধিকার রক্ষা করে না, সম্মান দেয় না, তাদের সব কর্মকাণ্ডে অসহযোগিতা ও আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাস্তা উন্মুক্ত করতে হবে। তাই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আমাদের আহ্বান, এই ভোট বর্জন করুন। সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম ও মাহমুদুর রহমান সুমন উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, বিশ্বে নজিরবিহীন নির্লজ্জ কায়দায় মামুদের নিয়ে প্রকাশ্যে নিজেদের মধ্যে সিট ভাগাভাগী করে এখন ভোট ভোট খেলায় মেতে উঠেছে তারা। ১৭৪ আসন প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অটো পাস হলেও ভোট নাটকের জন্য ধরে রাখা হয়েছে। ক্ষমতায় থাকার এত কসরত।
রিজভী আরও বলেন, সাহস থাকলে পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সারা দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। নির্বাচনে মাত্র দুজন প্রার্থী থাকবেন। একদিকে বেগম খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমান অপরদিকে আপনি শেখ হাসিনা। প্রমাণ করে দেখুন, জনগণ ভোট দিয়ে কাকে নেতা নির্বাচন করে?
মন্তব্য করুন