কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৩২ পিএম
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বিবিএসের জরিপ

‘মধ্যবিত্তের আয় কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ, কমেছে খাদ্য গ্রহণ’

বিবিএসের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ প্রকাশনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
বিবিএসের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ প্রকাশনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে উঠে এসেছে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার চিত্রসহ নানা বিষয়। জরিপ অনুযায়ী শহরের দারিদ্র্য কমলেও আর্থিক দুর্বলতা বেড়েছে। মধ্যবিত্তের আয় কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ, একইসঙ্গে কমেছে খাদ্য গ্রহণও। দেশের জনসংখ্যার ২১ দশমিক ১১ শতাংশ মানুষ, অর্থাৎ প্রতি পাঁচজনে একজন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শহর-গ্রামের তুলনা করলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার পরিমাণ গ্রামে বেশি।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) থেকে প্রকাশিত ‘খানা আয়-ব্যয় জরিপ ২০২২’ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য ওঠে এসেছে।

বিবিএসের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ প্রকাশনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

জরিপের তথ্যানুসারে, গ্রামে বসবাসরত জনসংখ্যার ২২ দশমিক ৩৬ শতাংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তবে শহরে এ হার ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। দেশের মানুষ এখন প্রতিদিন গড়ে ৩২৮ গ্রাম ভাত গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু ২০১৬ সালে ভাত গ্রহণের পরিমাণ ছিল ৩৬৭ গ্রাম। ওই সময় দৈনিক ১৩ দশমিক ৬ গ্রাম ডিম গ্রহণ করা হলে এখন তা কমে ১২ দশমিক ৭ গ্রামে নেমে এসেছে। একই সময়ে পেঁয়াজ গ্রহণের পরিমাণও কম এসেছে।

‘দেশে বৈষম্য অ্যালার্মিং লেভেলে পৌঁছে গেছে’ উল্লেখ করে সভায় বিশেষ অতিথি হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, দেশের মোট আয়ের ৩০ শতাংশ ৫ শতাংশ উচ্চ আয়ের মানুষের হাতে আবদ্ধ হয়ে আছে। যেখানে নিম্ন আয়ের ৫০ শতাংশ মানুষের হাতে আছে মাত্র ১৮ শতাংশ আয়। তাই বৈষম্য এখন দারিদ্র্যের চেয়ে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের দারিদ্র্য কমলেও আর্থিক দুর্বলতা বেড়েছে। মধ্যবিত্তের আয় কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ, একইসঙ্গে কমেছে খাদ্য গ্রহণও।

অনুষ্ঠানে জরিপের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিবিএসের উপপরিচালক এবং খানার আয় ও ব্যয় জরিপ প্রকল্পের পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য কাউসার আহাম্মদ, বিবিএসের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান প্রমুখ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল, কিন্তু তিনি আসতে পারেননি। সশরীর উপস্থিত হতে না পারলেও তিনি ভিডিও বার্তা দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওষুধের দোকানে মদ বিক্রি, বাবা-ছেলেসহ আটক ৩

১৯ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

সীমান্তে ১২ রোহিঙ্গাকে পুশইন

৫ বছর পর এবি পার্টি থেকে আবার জামায়াতে ফিরলেন ৪০ নেতাকর্মী

প্রতিটি বিভাগীয় শহরে বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করা হবে : আমিনুল হক

একটি মহল পিআরের নামে গণতন্ত্র নস্যাতের পাঁয়তারা করছে : টুকু

ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্র ফোরামের নবগঠিত কমিটি অনুমোদন

তিতুমীর কলেজ ক্যান্টিনে ফ্যান বসালেন ছাত্রদল নেতা রিমু

বগুড়ায় আগুনে নিঃস্ব তিন পরিবারের পাশে তারেক রহমান

শেষ হলো ঢাকা জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে ৩ দিনব্যাপী পাটপণ্য মেলা

১০

ট্রাম্পের হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ

১১

এনসিপির সেই নেত্রীকে অব্যাহতি

১২

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য জবির বিশেষ পরিবহন সেবা

১৩

ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে লঙ্কান ক্রিকেটারের বাবার মৃত্যু

১৪

বিদেশি ঋণে রেকর্ড, ১১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

১৫

‘শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আমাদের সংগ্রাম চলবে’

১৬

দুই দফা দাবি / আন্দোলনস্থান ত্যাগে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

১৭

বুয়েট শিক্ষার্থী সনি হত্যা মামলার আসামি টগর গ্রেপ্তার

১৮

শ্রীলঙ্কার জয়ে ভর করে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

১৯

গাজায় ইসরায়েলের চার সেনা নিহত

২০
X