বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আ.লীগের আমলে দেশের মাথাপিছু আয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে 

টানা তিন মেয়াদে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিতে দেশ এগিয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ছবি: সংগৃহীত
টানা তিন মেয়াদে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিতে দেশ এগিয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতার পরপর বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আখ্যা দেওয়া হলেও মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু, সাক্ষরতার হার, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি নানা দিকে এগিয়েছে দেশ। এরমধ্যে টানা তিন মেয়াদে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিতে এগিয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যা ২০২৩ সালে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৯৩ ডলারে উন্নীত হয়েছে। অথচ যুদ্ধবিধ্বস্ত ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া দেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯১ ডলার।

তথ্য বলেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে ১৯৭৫ সালে মাথাপিছু আয় ২০৪ শতাংশ বা তিন গুণ বেড়ে ২৭৭ ডলারে উন্নীত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় হত্যার আগে বঙ্গবন্ধু দেশকে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ১১৪ ডলার যেখানে ১৯৭৪ সালে তা ছিল ১৭২ ডলার। ১৯৭২ সালে টাকা-ডলার বিনিময় হার ছিল ৭.৭ যা ১৯৭৫ সালে ১২.১৮ এ পৌঁছেছিল। এরপর, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে মাথাপিছু আয় মাত্র ৬ ডলার বেড়েছিল। ওই অধিকাংশ সময়জুড়ে বাংলাদেশ সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে ছিল।

সরকারি তথ্যে দেখা গেছে, ১৯৭৬ থেকে ১৯৮১ সময়কালে মাথাপিছু আয় ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল যেখানে ১৯৯০ সালে মাথাপিছু আয় ২৭৭ ডলারে পৌঁছতে ১৫ বছর সময় লেগেছিল। যদিও ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের এই মাথাপিছু আয় ২৭৭ ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল।

সামরিক শাসকদের হাতে শাসিত সেই সময়কালে মাথাপিছু আয় অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী ছিল। কারণ, এটি ছিল ১৯৭৬ সালে ১৩২ ডলার, ১৯৭৭ সালে ১২৩ ডলার, ১৯৭৮ সালে ১৬৬ ডলার, ১৯৭৯ সালে ১৯০ ডলার, ১৯৮০ সালে ২১৬ ডলার, ১৯৮১ সালে ২৩৫ ডলার, ২০৮১ সালে ২১৬ ডলার, ১৯৮৩ সালে ১৯৩ ডলার, ১৯৮৪ সালে ২০২ ডলার, ১৯৮৫ সালে ২৩২ ডলার, ১৯৮৬ সালে ২২১ ডলার, ১৯৮৭ সালে ২৪১ ডলার, ১৯৮৭ সালে ২৪১ ডলার, ১৯৮৮ সালে ২৫৮ ডলার, ১৯৮৯ সালে ২৭৪ ডলার, ১৯৯০ ২৯৪ ডলার ও ১৯৯১ সালে ২৮৩ ডলার।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধুই অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন এবং এভাবে অল্প সময়ের মধ্যে অর্থনীতি একটি স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যায় যা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে খুবই ব্যতিক্রমী। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির মূল কারণ প্রবাসী বাংলাদেশি ও তৈরি পোশাক খাতসহ বিভিন্ন খাতে দেশের মেহনতি মানুষ। দেশের কৃষকরা এখন আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির মাধ্যমে তাদের কৃষিকাজ পরিচালনা করছে, ফলে ফসলের ফলন বেশি হচ্ছে ও মজুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মনি গ্রেপ্তার

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফরিদপুরে কর্মসূচি

এখনো ‘ট্রাভেল পাস’ চাননি তারেক রহমান : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাবির তিন শিক্ষক বরখাস্ত, ছাত্রত্ব বাতিল দুই শিক্ষার্থীর

‘চশমা’ প্রতীকে নির্বাচন করবে আট দলের শরিক জাগপা

মানুষের অধিকারের প্রশ্নে খালেদা জিয়া সব সময় আপসহীন : মাসুদুজ্জামান

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির ওমরাহ পালন

সেঞ্চুরিও বাঁচাতে পারল না ভারতকে, সমতায় সিরিজ

মাদকাসক্ত ছেলের আগুনে পুড়ল বসতঘর

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় হাসপাতালে চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল

১০

মাদ্রাসাছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

১১

শরীয়তপুরে খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় মিলাদ ও দোয়া

১২

পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের যে দাবি

১৩

সন্তানহারা মা কুকুরটিকে দেওয়া হলো দুটি নতুন ছানা

১৪

সালাউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি বিসিবি, থাকছেন জাতীয় দলের সাথেই

১৫

সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার কাজী আলাউদ্দিনের

১৬

স্কুলে ভর্তিতে বয়সসীমা নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১৭

বাস-ভ্যানের সংঘর্ষে প্রাণ গেল দুজনের

১৮

চা খেয়ে ফিরছিলেন চার বন্ধু, একে একে প্রাণ গেল তিনজনের

১৯

বিশাল এক ইলিশ ১৪ হাজারে বিক্রি

২০
X