পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় ড. হাছান মাহমুদকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।
এক্স বার্তায় তিনি জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন। ভারত এবং বাংলাদেশ মৈত্রীর সম্পর্ক একসঙ্গে আরও গভীর করতে উন্মুখ।
Congratulate Dr. Mohammed Hasan Mahmud on his appointment as the Foreign Minister of Bangladesh. Look forward to working together to further deepen the Maitri. — Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) January 14, 2024
গত ১১ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিপরিষদের শপথগ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
হাছান মাহমুদ ১৯৬৩ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পাদুয়া ইউনিয়নের শোক বিলাস গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনা ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক এবং ১৯৮৯ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেন তিনি। ২০০১ সালে বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ রসায়ন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবন
ড. হাছান ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম ওয়ার্ড শাখা ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত তৎকালীন সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমান সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৯৩ সাল থেকে বেলজিয়ামে অবস্থানকালে সেখানকার আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সালের মার্চ পর্যন্ত বেলজিয়াম শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সপ্তম জাতীয় সংসদের সময়কালে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
ড. হাছান মাহমুদ ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী এবং ২০০২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দলটির পরিবেশ ও বনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করে ১ লাখ ১ হাজার ৩৪০ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় শেখ হাসিনার তৃতীয় মন্ত্রিসভায় তিনি ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রথমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, একই বছরের ১ আগস্ট থেকে ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং পরে একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
মন্তব্য করুন