শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৫০টি স্টল নিয়ে আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় পিঠা উৎসব। চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এছাড়া ৩১ জানুয়ারি ৬৪ জেলায় একযোগে শুরু হবে পিঠা উৎসব।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ‘মাছে ভাতে বাঙালি, ঐতিহ্যমণ্ডিত পিঠাপুলি/রন্ধন আর পিঠার বাহারে শিল্পী আছে ঘরে ঘরে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩০ এর সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, পিঠা একটি শিল্প। পিঠা উৎসবে বাণিজ্যিক বিষয়টি যাতে মুখ্য হয়ে না ওঠে, এই বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়েছে। এবার আমাদের মূল লক্ষ্য পিঠাশিল্পীর মূল্যায়ন। এই মেলায় যারা পিঠা তৈরি করবেন তারা এখনো সেভাবে পিঠাশিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি পাননি তাদের তৈরি পিঠাকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ। পিঠা উৎসবের মূল লক্ষ্য আরও কিছু পিঠার জিআই স্বীকৃতি অর্জন করা।
তিনি বলেন, যারা পিঠার কারিগর, বাণিজ্যিকভাবে পিঠা তৈরি করেন, তাদেরও এখানে জায়গা দেওয়া হয়েছে। কারণ তারা নিজেরা পিঠা তৈরি করে বিক্রির মাধ্যমে কিছুটা লাভবান হলেন, তাদেরও উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি জেলায় মেলা করার জন্য দেড় লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে তারা স্টল নির্মাণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে। দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় একযোগে ৩১ জানুয়ারি থেকে ০২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে পিঠা উৎসব। ঢাকাতে মেলা পরিচালনা করতে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। কিছু স্টল বাণিজ্যিকভাবে করা হবে। যারা ব্যবসায়িকভাবে পিঠা বিক্রি করেন তাদের কাছ থেকে সামান্য স্টল ভাড়া নেওয়া হবে। পিঠার দাম সহনশীল রাখার চিন্তাভাবনাও করছেন আয়োজকরা।
তিনি জানান, এছাড়া পিঠার মান মূল্যায়ন করবেন বিচারকমণ্ডলী। সারা দেশ থেকে যত পিঠা মেলায় আসবে তা নিয়ে গবেষণাও করা হবে। প্রতি জেলাতে একজন গবেষককে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য অর্থায়নও করা হয়েছে।
জাতীয় পিঠা উৎসব দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। দর্শকরা চাইলে রাত ১০টা পর্যন্ত হতে পারে। শুক্রবার সকাল থেকে হবে কিনা এটা আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব। এছাড়াও পিঠা উৎসবে প্রতিদিন বিকেল ৫টায় থাকবে লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
মন্তব্য করুন