বাংলাদেশ-রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাশিয়ান হাউসে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি, বাংলাদেশ-রাশিয়া মৈত্রী সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আ. আ. স. ম আরেফিন সিদ্দিকী, বাংলাদেশ-রাশিয়া মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য, লেখক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, বাংলাদেশে বেলারুশের কনসূল জেনারেল অনিরুদ্ধ রায়, রাশিয়ান হাউসের পরিচালক মিস্টার পাভেল।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছর পূর্তি হচ্ছে। রাশিয়া বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠালে রাশিয়া তথা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ ডুবজাহাজ ভাসমান করে বাংলাদেশের দিকে প্রেরণ করলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী সপ্তম নৌ বহর পিছু হঠতে বাধ্য হয়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন ফেলে ব্যবহার অনুপযোগী করে রেখে যায়। বাংলাদেশের অকৃত্রিম পরীক্ষিত বন্ধু রাশিয়া সমুদ্র থেকে মাইন অপসারণ করে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার উপযোগী করতে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সব সময় সহযোগী। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রজেক্ট পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রাশিয়ার সহযোগিতায় গড়ে উঠছে। জাতীয় গ্রেডে খুব শিগগিরই বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
আলোচনায় আরও বলা হয়, হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রাশিয়াতে উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে। বাংলাদেশ রাশিয়াকে সব সময় পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে পাশে পেয়েছে, বাংলাদেশ রাশিয়ার এই কূটনৈতিক সম্পর্ক ৫২ বছর পূর্তি হলো, কূটনৈতিক ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
আলোচনা শেষে চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও অতিথিসহ আগত সকলকে আপ্যায়ন করা হয়।
মন্তব্য করুন