কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বইমেলায় প্রধানমন্ত্রী

ঘুমের ওষুধ না খেয়ে একটু বইটই পড়ুন

বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকের ঘুম না এলে ঘুমের ওষুধ খান। ঘুমের ওষুধ খাওয়ার দরকারটা কী? একটু বইটই পড়লে, বই একটু হাতে নিলে ঘুম চলে আসবে। আমি সেটা নিজেই মনে করি।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১৬ লেখককে বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রদান করার পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পড়ার অভ্যাসটা সবার থাকা উচিত। বাবা-মা যদি ছোটবেলা থেকে শেখাই তাহলে কিন্তু পড়ার অভ্যাসটা হবে। অনেকের ঘুম আসে না ঘুমের ওষুধ খায়। ঘুমের ওষুধ খাওয়ার দরকারটা কী। একটু বই পড়লে- যে খুব বেশি ইন্টারেস্টড না সেটা হাতে নিলেই ঘুম চলে আসবে। আমি সেটা নিজেই মনে করি। কঠিন একটা প্রবন্ধ পড়লেই ঘুমটা তাড়াতাড়ি আসবে। বেশি মজারটা পড়লে কিন্তু আবার ঘুম চলে যাবে। এজন্য বেছে নিতে এমন একটা বই, যেটা পড়লে তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসবে। তাহলে দেখবেন আরামেই ঘুমাবেন। আমি প্রায়ই এটা অনুসরণ করি।

সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বাংলা ভাষা মধুর। এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। এরপরও বই প্রকাশ হবে। তা কখনও যাবে না। বই পড়ার আনন্দ আছে। তবে এখনকার শিক্ষার্থীরা ট্যাবে ও ল্যাপটপে বই পড়ে। আমরা সেভাবে আনন্দ পাই না।

তিনি বলেন, ভাষার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা উচিত। তাই প্রকাশকদের বলব, এখন থেকে বই ডিজিটালি প্রকাশ করতে হবে। এতে শুধু দেশ নয়, বিদেশেও আমাদের ভাষার বই পৌঁছাতে পারব। অন্য ভাষাভাষীর লোকজনও আমাদের বই পড়ে।

ইতিহাস টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোনায়েম খান রবীন্দ্র সংগীত বন্ধ করতে বলেছিলেন। তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক হাই। মোনায়েম খান বলেছিলেন, এখানকার শিক্ষকরা কেন রবীন্দ্র সংগীত রচনা করতে পারেন না? তখন উত্তরে হাই বলেছিলে, উনি লিখতে পারেন- তবে সেটি রবীন্দ্র সংগীত না, হবে হাই সংগীত! তাহলে বোঝেন, কেমন রাষ্ট্রের অধীনে ছিলাম আমরা!

তিনি আরও বলেন, সাহিত্য রচনার মধ্য দিয়ে অনেক ইতিহাস জানা যায়। আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল পাকিস্তানি শাসকরা। এর প্রতিবাদ এ দেশের মানুষ করেছে। যখন থেকে রাষ্ট্র ভাষা বাংলা মর্যাদা অর্জনের জন্য আন্দোলন শুরু হয়, তখন থেকে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা বঙ্গবন্ধুর পেছনে লেগে থাকে। তার ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে সংস্থাটি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানকে যে নামে ভূষিত করলেন ট্রাম্প

মাহিন সরকারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

মতপার্থক্য সত্ত্বেও একসঙ্গে দাঁড়ানোই আসল শক্তি : তাসনিম জারা

প্রায় ৪ কোটি টাকার হেরোইন ফেলে চোরাকারবারিদের নদীতে ঝাঁপ

গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন ফারুক হাসান

এশিয়া কাপের সুপার ওভারে ভারতের রোমাঞ্চকর জয়

বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে সোহেল তাজকে

গুপ্ত রাজনৈতিক মহলের কাঁচা নাটক ব্যর্থ হয়েছে : তারিকুল ইসলাম

পার্কে ঘুরতে গিয়ে ছাত্রদল নেতাদের হামলায় শিশুসন্তানসহ ২ সাংবাদিক আহত

জাতিসংঘে ড. ইউনূসের সফরসঙ্গীর সংখ্যা জানালেন প্রেস সচিব

১০

সম্প্রীতির জন্য নিজের মূল্যবোধকে জাগ্রত করতে হবে : পার্বত্য উপদেষ্টা

১১

শিশুদের জন্য আমাদের আরও অনেক কিছু করা বাকি : ডা. শাহাদাত

১২

তুচ্ছ ঘটনায় সিলেটে যুবককে পিটিয়ে আহত

১৩

আমরা ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই : শরীফ

১৪

পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের

১৫

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন / খুলনা বিভাগে রেজিস্ট্রেশন করেছে লক্ষ্যমাত্রার ৩১ শতাংশ শিশু-কিশোর

১৬

ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনের গণসংযোগ

১৭

শখের রঙিন মাছে লাখপতি জয়

১৮

সরকার একটি দলকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে : মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক

১৯

মিয়ানমারের চলমান সংঘাত সমগ্র অঞ্চলের জন্য উদ্বেগজনক : প্রধান উপদেষ্টা

২০
X