দ্বিতীয় দিনে জমে ওঠেছে জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩০। বৃহস্পতিবার (১ ফেরুয়ারি) বিকাল থেকেই জমে ওঠে পিঠা উৎসব। সন্ধ্যার হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টিতে মাঠের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় খানিক বিরতি পড়লেও পিঠার স্বাদ গ্রহণে ব্যস্ত থাকেন পিঠাপ্রেমীরা। গরম গরম তেলে ভাজা পিঠার স্বাদ নিতে স্টলে স্টলে ভিড় করেন তারা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির আয়োজনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় মেলা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পারিবারিক ঐতিহ্যগতভাবে যারা পিঠা তৈরি করেন সেই শিল্পীদের নিয়ে ৫০টি স্টল স্থান পেয়েছে এবারের পিঠা উৎসবে।
পার্বত্য এলাকা থেকে শুরু করে নগরের বিভিন্ন ধরনের আদি পিঠা স্থান পেয়েছে স্টলগুলোতে। বিবিখানা, জামাই আদর, ডিম সুন্দরী, ক্ষ্যাতাপুরী, ক্ষীর পাটিসাপটা, নারিকেল গুড়ের পুলিপিঠা, খেজুর গুড়ের পিঠা, সাংগ্রাই মুং, আদিবাসীদের কলা পাতার পিঠা, কালো বিন্নি চালের পায়েস, চালের ছোট রুটির সঙ্গে পুর সবজি, ছিটা পিঠাসহ নানা ধরনের আদি পিঠার পসরা নিয়ে বসেছেন শিল্পীরা।
অন্যদিকে পরিবেশিত হয়েছে লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্নিগ্ধ সন্ধ্যায় গরম গরম ধোয়া ওঠা পিঠার সঙ্গে লোক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সঙ্গীত ও নৃত্য উপভোগ করেন আগত পিঠাপ্রেমী ও দর্শকরা।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয় লোক নৃত্য। এর পর পরিবেশিত হয় বিশেষ লোকসঙ্গীতানুষ্ঠান-বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আবহমান বাংলার লোকনন্দন পরিবেশনা।
নৃত্য ‘আয় ছুটে আয়’ পরিবেশন করে বহ্নিশিখা। পরিচালনায় সাদিয়া রহমান। এরপর কবি-জসীম উদদিনের কবিতা ‘কমলা রানীর দিঘি’ আবৃত্তি করেন ইকবাল খোরশেদ। একক সংগীত ‘আমার নিঠুর মনোহর’ পরিবেশন করেন দেবিকা শ্রেয়সী।
এরপর আবার একক সংগীত পরিবেশন করেন আসগর আলীম ও ড. শ্যাওলী। সমবেত নৃত্য ‘মোর বন্ধু বাজায় ঢোল’ পরিবেশন করে নন্দন কলা কেন্দ্র, নৃত্য পরিচালনা করেন এম আর ওয়াসেক।
মন্তব্য করুন