মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও দেশের কিংবদন্তি রাজনীতিক সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (৯ জুন) রাতে এক শোকবার্তায় তিনি এ শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। শোকবার্তায় তিনি বলেন, সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুতে তার নিকটজনদের মতো আমিও গভীরভাবে সমব্যথী। ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে তার অবদান ছিল অসামান্য। নেতৃত্বে না থাকলেও তিনি অন্তরালে থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার পরিচিতি ও সুনাম ছিল ব্যাপক। তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি মুক্তিযুদ্ধের একজন বলিষ্ঠ সংগঠক ও গুণী রাজনীতিককে হারাল। বিএনপি মহাসচিব শোকবার্তায় সিরাজুল আলম খানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, নিকটাত্মীয়, গুণগ্রাহী, ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এর আগে, শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিরাজুল আলম খান। এদিকে পৃথক শোকবার্তায় সিরাজুল আলম খানকে নিজের ‘রাজনৈতিক দার্শনিক শিক্ষক’ হিসেবে অভিহিত করে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘তিনি চলে গেলেও ইতিহাস তাকে বাঙালির দেদীপ্যমান ‘বাতিঘর’ হিসেবে ইতিহাসের ঐতিহাসিকতায় ধারণ করবে।’ এ ছাড়া শোক জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক, ১২-দলীয় জোটের শীর্ষনেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, জোট নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, সৈয়দ এহসানুল হুদা, শাহাদাত হোসেন সেলিম, কারী আবু তাহের, তাসমিয়া প্রধান, আজহারুল ইসলাম; জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জোটের নেতা খন্দকার লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, মাইনরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি মণ্ডল, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন