সাহসকিতা ও প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মাহমুদুল হাসানকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে জাতীয় পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে এ পদকে ভূষিত করা হয়।
তিনি ২০০৮ সালের ১৬ আগস্ট বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগদান করেন। তিনি ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ডিএমপির সিটিটিসির সিটি-ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস ডিভিশনে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত নিম্নলিখিত উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড সম্পাদন করেছেন :
জঙ্গি সদস্য গ্রেপ্তার
তিনি আরসা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে সশস্ত্র জিহাদে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রকারী ছয়জন জঙ্গি আসামি শনাক্ত করেন এবং ওই আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আভিযানিক দল প্রেরণ করে দলকে সব প্রযুক্তিগত সহায়তা ও দিক নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে অভিযানটি সফল করেন এবং ছয়জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি আসামি গ্রেপ্তারে নেতৃত্ব প্রদান করে দেশের অভ্যন্তরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি ও রাষ্ট্রবিরোধী সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে সমর্থ হন।
জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া’-এর দুজন সদস্যকে গ্রেপ্তার
তার নির্দেশনায় পাহাড় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেরত দুজন জঙ্গি সদস্যকে শনাক্ত করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে আভিযানিক দল প্রেরণ করে দলকে সব প্রযুক্তিগত সহায়তা ও দিক নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর আসামি গ্রেপ্তারের মাধ্যমে অভিযানটি সফল করেন।
জোড়া হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন ৭ নং বশিকপুর ইউপিস্থ পোদ্দার বাজার হতে নাগেরহাটগামী রাস্তায় বাজার হতে অনুমান ৪০০ গজ দূরে নন্দীগ্রামস্থ আনোয়ারের স-মিলের সামনে রাস্তার ওপর চাঞ্চল্যকর জোড়া হত্যা সংগঠিত হয়। উপরোক্ত হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হলে বর্ণিত কর্মকর্তা ওই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আভিযানিক দলকে প্রেরণ করে দলকে সব প্রযুক্তিগত সহায়তা ও দিক নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে অভিযানটি সফল করেন এবং তিনজন অপরাধী ব্যক্তি যারা সরাসরি এ ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিল তাদের গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করার ব্যবস্থা করেন।
মন্তব্য করুন