

ড্রেসিংরুমে ফিরেও মুখে মিষ্টি হাসি, তবে চোখে আভাস একটু আফসোসের। ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলেও যেন কোথায় একটা অপূর্ণতা রয়ে গেল। মাহমুদুল হাসান জয় জানালেন, সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির হাতছানি হাতছাড়া করাটা তাকে কিছুটা কষ্টই দিয়েছে।
“অবশ্যই একটু হতাশা আছে,” দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সাংবাদিকদের বলছিলেন জয়, “কারণ যদি আর কিছুক্ষণ টিকতে পারতাম, তাহলে আমার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে যেত। তাই একটু খারাপ লাগছে। তবে দলকে বড় ইনিংস দিতে পেরেছি, এটাই সন্তুষ্টির জায়গা।”
সকালে ১৬৯ রান নিয়ে শুরু করেছিলেন, কিন্তু যোগ করতে পেরেছেন মাত্র ২ রান। ব্যারি ম্যাকার্থির বলেই আউট হয়ে ফিরে যান ১৭১ রানে। তার সঙ্গী মমিনুল হকও (৮২) ফেরেন একই বোলারের বলে। তবু আগের দিনই দলের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন জয়, যে ইনিংসের ওপর ভর করেই বাংলাদেশ তুলেছে ৫৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।
নিজের ইনিংস নিয়ে জয় আরও বলেন, ‘আমি আসলে নিজের স্বাভাবিক খেলাই খেলেছি। ওই বলটা যদি একটু ভালো কভার করতাম, হয়তো আউট হতাম না। টেকনিক্যালি তেমন কিছু বদল করিনি, শুধু আগে বড় শাফল করতাম—এখন সেটা অনেক কমিয়েছি। বাকিটা সব আগের মতোই।’
জয় জানান, সাম্প্রতিক ঘরোয়া পারফরম্যান্সই তাকে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে। ‘এনসিএলে শতরানটা অনেক সাহায্য করেছে। এরপর চারদিনের ম্যাচেও ভালো খেলেছি। সেখানকার আত্মবিশ্বাসই এখানে কাজে দিয়েছে।’
নতুন ব্যাটিং কোচ আশরাফুল ও স্থানীয় কোচদের কাছ থেকেও পেয়েছেন সহায়তা, বললেন জয়—‘আশরাফুল ভাই তো এই সিরিজেই এসেছেন, তার সঙ্গে খুব বেশি কাজ হয়নি। তবে সালাউদ্দিন স্যার অনেক আগেই আমাকে চেনেন। সবাই শুধু বলেছে নিজের মতো খেলতে।’
বাংলাদেশের ইনিংসে এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি (১০০), মুশফিকুর রহিমের ২৩ ও লিটন দাসের ৬০ রানের ঝলক মিলে লিড দাঁড়িয়েছে বিশাল ৩০০ রানেরও বেশি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৬–৫ তে থাকা আয়ারল্যান্ড এখনো পিছিয়ে ২১৫ রানে—পরাজয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তবু জয় জানালেন, ব্যক্তিগত রেকর্ডের চেয়ে দলের জয়ই তার কাছে বড়, ‘দল যদি জেতে, তাহলে হয়তো ডাবল সেঞ্চুরি না পাওয়ার আফসোসও কমে যাবে।’
মন্তব্য করুন