রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে লাগা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে হাত কেটে যায় তার।
মো. আক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমরা শুরু থেকেই কাজ করছি। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে। তবে সার্বিক কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে এবং পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে আমি আহত হই।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে আমি দ্রুত চলে এসেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দ্রুত আসতে বললেন। এখানে এসে যা দেখলাম তা ভয়াবহ অবস্থা। বার্ণ ইন্সটিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। অপর দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন মারা গেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন। তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক। যারা বেঁচে আছে তাদের বাঁচি রাখার চেষ্টা। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ণ ইউনিটে ভর্তি আছেন। বাইরে কেউ আছে কি না এখনো তথ্য পাওয়া যায় নি। ঢামেক ১৪ জন ও বার্ণে আহতের সংখ্যা ৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে গুরুত্ব আছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় অন্তত ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আরও ৪২ জনকে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন। আর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন ১০ জন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৩টি মরদেহ।
ভবনটিতে পিজ্জা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ আরও রেস্টরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ জনপ্রিয় বিপণিবিতানও রয়েছে। ভবনে রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধার সহায়তায় যোগ দিয়েছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি।
মন্তব্য করুন