কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদকাসক্তরাই হাসিলতা হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী : রাণা দাশগুপ্ত

রাণা দাশগুপ্ত। ছবি : সংগৃহীত
রাণা দাশগুপ্ত। ছবি : সংগৃহীত

৭০ বছর বয়সী হাসিলতার মতো বৃদ্ধাকে হত্যার আগে ধর্ষণ জিঘাংসারই পরিচায়ক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মিহির রঞ্জন হাওলাদার স্বাক্ষরীত বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ছয় মার্চ পূজারীনী হাসিলতা বিশ্বাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালিবাতা সেবাশ্রম পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, সরোজ কুমার বিশ্বাস, রবীন মন্ডল, শিপ্রা বিশ্বাস, ডেভিড বৈদ্য, বাদল মল্লিক প্রমুখ সংগঠনের গোপালগঞ্জ জেলার নেতারা।

পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রায় শ-তিনেক গ্রামবাসী ও পূজারীর সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে অ্যাডভোকেট দাশগুপ্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অনতিবিলম্বে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তাদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে রাণা দাশগুপ্ত বলেন, দুই পুত্র ও তিন সন্তানের জননী হাসিলতা বিশ্বাস ৭০ বছরের বৃদ্ধা ছিলেন। প্রায় এক দশক ধরে ‘মালিবাতা সেবাশ্রম’র পূজারী ছিলেন তিনি। রাতে মন্দিরের একটি কক্ষে তিনি একাই থাকতেন। গত ২ মার্চ রাতে সেবাশ্রমের মূলফটক ভেঙে দুষ্কৃতকারীরা ভেতরে প্রবেশ করে যে কক্ষে তিনি ছিলেন, সে কক্ষ থেকে আরেকটি কক্ষে নিয়ে যায়। তারপর পূজারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন- হত্যার আগে হাসিলতা বিশ্বাসকে ধর্ষণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একদল দুর্বৃত্ত রাতে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করে অজ্ঞাতনামা যুবকদের সঙ্গে নিয়ে নেশা করত। এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এই বিবেচনায় মাদকাসক্তরাই এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। এ ঘটনাকে শুধু চুরি করতে এসে হত্যার ঘটনা হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। হত্যার মধ্যে যে পৈশাচিকতা, অমানবিকতা ও অস্বাভাবিকতা রয়েছে তা জিঘাংসারই বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতিতে রাণা দাশগুপ্ত বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের কারণে স্থানীয় পূজার্থী ও গ্রামবাসীরা আজও নিদারুণ শঙ্কায় দিনাতিপাত করছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এদের মনে আশা ও আস্থা তৈরির জন্য এখনও পর্যন্ত কোনো জনপ্রতিনিধি এমনকি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারাও ঘটনাস্থল সফর করেননি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অধ্যাদেশ আটকাতে বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধীদের মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

কেমব্রিজ সিটির সম্মাননা পেল প্রিয়তা ইমাম

আর্সেনালের ১৪ মিনিটের ঝড়ে উড়ে গেল অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ

উত্তাল বুয়েট, এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

সুপার ওভারে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তে হতবাক ক্যারিবীয় ক্রিকেটার

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সার গোল উৎসব

মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট

বিতর্কে হার মানল লা লিগা, বার্সা–ভিয়ারিয়ালের মায়ামি ম্যাচ বাতিল

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বে স্বাস্থ্য সচিব

পুঁজিবাজারে শিবলী-রিয়াজ আজীবন নিষিদ্ধ

১০

৬ মানবাধিকার সংস্থার চিঠি, যেভাবে দেখছে সরকার

১১

ভিন্নমত দমন নয়, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য রক্ষা করতে চাই : আমিনুল হক

১২

বিএনপি ক্ষমতায় এলে মহাসড়কে টোলমুক্ত থাকবে অ্যাম্বুলেন্স : এস এম জাহাঙ্গীর 

১৩

কোয়েস্ট বিডিসির বিনিয়োগ আড়ালে মানিলন্ডারিং, দুদকে অভিযোগ পাঠাবে বিএসইসি

১৪

গণতন্ত্রের বাতিঘর খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের ইতিহাস

১৫

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ-নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করব : প্রধান উপদেষ্টা

১৬

লালবাগে প্রয়াত পিন্টুর ভাইয়ের বড় শোডাউন

১৭

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে : সাইফুল হক

১৮

স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়ে বেরিয়ে গেলেও দিতে হবে টাকা!

১৯

যুব এশিয়াডে প্রথম পদক কাবাডিতে

২০
X