বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদকাসক্তরাই হাসিলতা হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী : রাণা দাশগুপ্ত

রাণা দাশগুপ্ত। ছবি : সংগৃহীত
রাণা দাশগুপ্ত। ছবি : সংগৃহীত

৭০ বছর বয়সী হাসিলতার মতো বৃদ্ধাকে হত্যার আগে ধর্ষণ জিঘাংসারই পরিচায়ক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মিহির রঞ্জন হাওলাদার স্বাক্ষরীত বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ছয় মার্চ পূজারীনী হাসিলতা বিশ্বাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালিবাতা সেবাশ্রম পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, সরোজ কুমার বিশ্বাস, রবীন মন্ডল, শিপ্রা বিশ্বাস, ডেভিড বৈদ্য, বাদল মল্লিক প্রমুখ সংগঠনের গোপালগঞ্জ জেলার নেতারা।

পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রায় শ-তিনেক গ্রামবাসী ও পূজারীর সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে অ্যাডভোকেট দাশগুপ্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অনতিবিলম্বে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তাদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে রাণা দাশগুপ্ত বলেন, দুই পুত্র ও তিন সন্তানের জননী হাসিলতা বিশ্বাস ৭০ বছরের বৃদ্ধা ছিলেন। প্রায় এক দশক ধরে ‘মালিবাতা সেবাশ্রম’র পূজারী ছিলেন তিনি। রাতে মন্দিরের একটি কক্ষে তিনি একাই থাকতেন। গত ২ মার্চ রাতে সেবাশ্রমের মূলফটক ভেঙে দুষ্কৃতকারীরা ভেতরে প্রবেশ করে যে কক্ষে তিনি ছিলেন, সে কক্ষ থেকে আরেকটি কক্ষে নিয়ে যায়। তারপর পূজারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন- হত্যার আগে হাসিলতা বিশ্বাসকে ধর্ষণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একদল দুর্বৃত্ত রাতে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করে অজ্ঞাতনামা যুবকদের সঙ্গে নিয়ে নেশা করত। এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এই বিবেচনায় মাদকাসক্তরাই এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। এ ঘটনাকে শুধু চুরি করতে এসে হত্যার ঘটনা হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। হত্যার মধ্যে যে পৈশাচিকতা, অমানবিকতা ও অস্বাভাবিকতা রয়েছে তা জিঘাংসারই বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতিতে রাণা দাশগুপ্ত বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের কারণে স্থানীয় পূজার্থী ও গ্রামবাসীরা আজও নিদারুণ শঙ্কায় দিনাতিপাত করছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এদের মনে আশা ও আস্থা তৈরির জন্য এখনও পর্যন্ত কোনো জনপ্রতিনিধি এমনকি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারাও ঘটনাস্থল সফর করেননি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতি শিল্পীদের কাছে আরেকটু দায়িত্বশীলতা আশা করে : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

এই শোকের সময়ে শান্ত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের

প্রধান উপদেষ্টার পাশে থাকার আশ্বাস চার দলের

সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়ে সফল রাষ্ট্র বানানো সম্ভব নয় : হাসনাত কাইয়ূম

মামদানির নীতিকে ‘ননসেন্স’ বললেন নেতানিয়াহু

‘হানির লগে যুদ্ধ করি ত্রিশ বছর কাডাই দিছ’

ট্রাম্পের চাওয়ায় কোকা-কোলায় এলো পরিবর্তন

নকল সিগারেট তৈরির কারখানার সন্ধান, আটক ৪

ওষুধের দাম বেশি নিলে ছাড় নয়, ভোক্তা অধিদপ্তরের হুঁশিয়ারি

সেই শিক্ষক মাহরিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাতিজি

১০

২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২০ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা

১১

জবিতে জনপ্রশাসন সংস্কার ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের গতিপথ শীর্ষক সেমিনার

১২

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি / ‘ছেলেকে সবসময় আইনস্টাইন বলে ডাকতাম’

১৩

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনেই বিদ্যমান সংকটের সমাধান সম্ভব : লায়ন ফারুক

১৪

শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া বাতিল বিমান চলবে না : রাশেদ প্রধান

১৫

সিলেট পরিবহন শ্রমিকদের দুগ্রুপের সংঘর্ষ

১৬

‘ওরাও তো আমার সন্তান, একা রেখে কী করে চলে আসি?’

১৭

বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বিশেষ প্রার্থনা  

১৮

স্বপ্ন পূরণের আগেই লাশ হয়ে ফিরছেন বগুড়ার আবু জাফর

১৯

দিল্লিতে এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেনে আগুন

২০
X