ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে অতিরঞ্জিত খবর ছড়িয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এ যুদ্ধে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে। এবার ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক সাংবাদিক।
সোমবার (১২ মে) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের শীর্ষ দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকার পররাষ্ট্র সম্পাদক স্ট্যানলি জনি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য শেয়ার করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। গতকাল (১১ মে) এক্সে একটি ভিডিও রিটুইট করার পর জনি জানতে পারেন, ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছিল—ভারতীয় নৌবাহিনী করাচি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে পরে তা মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়।
ভারতীয় এ সাংবাদিক পোস্টে লিখেন, সব জায়গাতেই প্রচার-প্রপাগান্ডার ঘনকুয়াশা। আমি সর্বোচ্চ যত্ন নিয়ে তথ্যভিত্তিক টুইট করতে চেষ্ট করি, ষড়যন্ত্র তত্ত্বে পড়তে চাই না। কিন্তু কখনো রিটুইট করলে ধরে নিই অন্য প্ল্যাটফর্মের খবরই ‘সত্য’।
ভিডিও ভুয়া বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি বলেছেন, এটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা খবর। আমি আপনাদের একটি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
এর আগে শনিবার (১০ মে) বাংলাদেশ সময় সন্ধা ০৬টায় প্রথম যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প তার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্লাটফর্ম ট্রুথ স্যোশালে শেয়ার করা এক পোস্টে জানান— যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাত ধরে আলোচনার পর, আমি আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি যে ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও অসাধারণ বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়ার জন্য উভয় দেশকে আমি অভিনন্দন জানাই। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ!’
পরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং উভয় দেশ ‘নিরপেক্ষ একটি স্থান‘ আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
স্যোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে রুবিও বলেছেন, গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে তিনি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শাহবাজ শরীফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর, সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, অসীম মালিকসহ ঊর্ধ্বতন ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সাথে’ আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং শরীফের প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা এবং রাষ্ট্রনায়কত্বের জন্য আমরা তাদের প্রশংসা করি।’
মন্তব্য করুন