র্যাপিড পাসের মাধ্যমে যাত্রীসেবা চালু করল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। পর্যায়ক্রমে এ সেবা বেসরকারি বাসেও চালু করা হবে। এখন একই পাস দিয়ে মেট্রোরেল ও বিআরটিসি বাসে ভ্রমণ করা যাবে।
বুধবার (২০ মার্চ) গুলিস্তানে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাসে র্যাপিড পাস চালু কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক সচিব বলেন, র্যাপিড পাস কার্ড দিয়ে মেট্রোরেল ও বিআরটিসি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি পরিবহনেও এ সেবা চালুর লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগী হিসেবে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বিআরটিসি। র্যাপিড পাস ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই চলাচল করতে পারবেন। র্যাপিড পাস হচ্ছে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা। এর ফলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুযোগ থাকবে না। ফলে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে ভাড়া নিয়ে জটিলতা নিরসন হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম ও ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন (অতিরিক্ত সচিব) সহ আরও অনেকে।
স্বাগত বক্তব্যে বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় বিআরটিসিতে র্যাপিড পাস চালু করা হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার বলেন, র্যাপিস পাস স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম নির্ধারক। এর মাধ্যমে সহজেই মানুষ চলাচল করতে পারবে।
ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন বলেন, র্যাপিড পাসের মাধ্যমে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই যাত্রীরা চলাচল করতে পারবে।
মন্তব্য করুন