কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্য

কোনো গ্রুপ নয়, সবাইকে নিয়ে কাজ করব

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে দায়িত্বগ্রহণের সময় বিএসএমএমইউর নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। ছবি : কালবেলা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে দায়িত্বগ্রহণের সময় বিএসএমএমইউর নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। ছবি : কালবেলা

কোনো পক্ষ বা গ্রুপের লোক হব না। আমি সেন্টারে থাকব, প্লাসে-মাইনাসে যাব না। সবাইকে নিয়ে কাজ করব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে দায়িত্বগ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার অবস্থান সবসময় সেন্টারে থাকবে, প্লাসে-মাইনাসে যাব না। আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু কোনো অন্যায় আমি করব না। কোনো অন্যায় আবদার আমি শুনব না। এখানে শ্রম দেওয়া প্রত্যেকটা মানুষকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের বন্ধু-ভাই হয়ে কাজ করতে চাই। প্রশাসনের ক্ষমতা কাটাতে চাই না। আপনারা আমাকে দলনেতা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। আমি সবসময় আপনাদের পাশে চাই। আপনারা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন, তাতেই আমি খুশি। অন্য কোনোভাবে আমাকে খুশি করা যাবে না। যে যে দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারবেন তাকেই দায়িত্ব দিতে চাই। আমি চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান পরিবর্তন করতে চাই।

কারও উদ্বেগের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম দিন। আমাকে নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা অনুভব করবেন না। আমাকে কোনো গ্রুপে যুক্ত করার চেষ্টা করবেন না। যারা ভালো কাজ করবে তারাই আমার লোক।

এ সময় সাবেক সব ভিসির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ বলেন, সাবেকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান ভিসি শারফুদ্দিন সাহেব আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। আমিও তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তিনি আমার বন্ধু মানুষ। আমরা দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করছি। একই ক্লিনিকে প্র‍্যাকটিস করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন আমার খুবই কাছের বড় ভাই। শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল করার সময় আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই জায়গা খালি করেছি। উনার সাথে কাজ করে হাসপাতাল দাঁড় করিয়েছি। তিনি এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীও আমার কাছের বোন। আমরা তিনজন মিলে দেশকে একটা অসাধারণ স্বাস্থ্যখাত উপহার দিতে চাই। আমি অন্যায় করবো না, কিন্তু আমার ভুলকে পুঁজি করে আমাকে অনুৎসাহিত করবেন না। চিকিৎসক ও শিক্ষকদের সমস্যা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশের মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষক তৈরি করে। আমি এই প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ থাকে তা নিশ্চিত করব। গবেষণা ছাড়া মেডিকেল শিক্ষা চলতে পারে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী গবেষণাই উৎসাহী। আমরা তার এই স্বদিচ্ছাকে কাজে লাগাতে চাই। গবেষণার জন্য যা যা প্রয়োজন আমি তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এনে দিতে পারব বলে বিশ্বাস।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পটুয়াখালীতে ইসতিসকার নামাজ আদায়

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট / সিলেটে প্রস্তুত বাঘিনীরা

গুচ্ছ পরীক্ষা কেন্দ্র করে সদরঘাট এলাকায় তীব্র যানজট

আইপিএল / রানবন্যায় বিরক্ত সৌরভ, বোলারদের বাঁচানোর আকুতি অশ্বিনের

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নতুন নির্দেশনা

ময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২

বাংলাদেশকে গ্যাস চেম্বার বানিয়েছে সরকার : রিজভী

ব্লিঙ্কেন বেইজিং ছাড়তেই তাইওয়ান ঘিরে চীনের মহড়া

গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের পদত্যাগ

জবিতে ভর্তিচ্ছুদের সেবায় জেলাভিত্তিক ছাত্র সংগঠনগুলো

১০

আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

১১

আগামী দুদিন কেমন থাকবে দেশের আবহাওয়া?

১২

রাজধানীতে সাবু শপের ঠান্ডা পানি বিতরণ

১৩

তীব্র গরমের মধ্যেই সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

১৪

ঘণ্টায় হাজার গাছের সঙ্গে কোলাকুলি করে বিশ্ব রেকর্ড

১৫

বগুড়ায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

১৬

ট্রাকচাপায় ভ্যানের যাত্রীসহ নিহত ৩

১৭

চাঁদপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা

১৮

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

১৯

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ গুচ্ছের পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা

২০
*/ ?>
X