কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০১ পিএম
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সড়ক নিরাপত্তায় সাত সুপারিশ

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত সভায় আলোচকরা। ছবি : সৌজন্য
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত সভায় আলোচকরা। ছবি : সৌজন্য

ঈদুল ফিতরসহ সবসময় সকল সড়ক ব্যবহারকারী যাতে নিরাপদে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সে লক্ষ্যে সরকারের প্রতি সাত সুপারিশ উত্থাপন করেছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত সড়ক নিরাপত্তা জোরদারে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সভায় এই সুপারিশ উত্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির রোড সেইফটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান।

সুপারিশসমূহ হলো

১. সড়কে দুর্ঘটনার একটি অন্যতম কারণ হলো যানবাহনের অনিয়ন্ত্রিত গতি। সড়ক ও পরিবহনের ধরন অনুযায়ী গতি নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গাইডলাইন অতিসত্বর প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।

২. মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়েরই মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত এনফোর্সমেন্ট গাইডলাইন প্রণয়ন করতে হবে।

৩. যানবাহনে চালকসহ সকল যাত্রীর সিটবেল্ট ব্যবহার সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি মোটরযানে (বিশেষ করে কার/জিপ/মাইক্রোবাসে) শিশু সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় এনে শিশুদের জন্য উপযুক্ত শিশু সুরক্ষিত আসন ব্যবস্থা প্রচলন সংক্রান্ত বিধি-বিধান জারি করতে হবে।

৪. মদ্যপ অবস্থায় বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে মোটরযান পরিচালনা না করা সংক্রান্ত বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করতে হবে। যাতে করে কেউ মদ্যপ অবস্থায় মোটরযান চালিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা না ঘটায়।

৫. সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য নিয়ে যেহেতু বিভ্রান্তি রয়েছে সেহেতু সড়ক দুর্ঘটনার সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও প্রদানে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনাগুলো বিবেচনায় এনে কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৬. যেহেতু বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ তে সড়ক ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা বিষয়টি অনুপস্থিত, সেহেতু বিশ্বব্যাপী সমাদৃত সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আদলে সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

৭. পরিশেষে, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস এবং এ সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সড়ক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সাধনের জন্য একটি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় (রোডক্র্যাশ) বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩১ হাজার ৫৭৮ জনের মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ঈদ বা যে কোনো উৎসবে সড়ক দুর্ঘটনার হার আরও বেড়ে যায়। সেই সাথে বাড়ে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যাও। এসব দিক বিবেচনা নিয়ে উত্থাপিত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।

ওই সভায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন রোড সেইফটি প্রকল্পের অ্যাডভোকেসি অফিসার (পলিসি) জেরিন আফরোজ, অ্যাডভোকেসি অফিসার (কমিউনিকেশন) তরিকুল ইসলামসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ : নৌবাহিনী প্রধান

বাংলাদেশে ডেঙ্গু ভ্যাকসিন এখনো চালু না হওয়ার কারণ

তাজরীনের আগুনে ঝলসে যাওয়া স্মৃতি, ১৩ বছর পরও শ্রমিকদের আর্তনাদ

নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হলে ব্যয় বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত

মাছের ঘের থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার

শুটিং সেটে গুরুতর আহত, প্রযোজকের কথা ভাবলেন শ্রদ্ধা

আঁধারে শেষ ২০ বিঘা সবজি ক্ষেত

বানিয়ে নিন মচমচে ফুলকপির পকোড়া

মুক্ত আকাশে ফাঁদে আটকা ৯০টি শালিক পাখি

১০

রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যা : অভিযোগ গঠনে শুনানির তারিখ নির্ধারণ

১১

প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইল রিয়াল মাদ্রিদ

১২

দুর্নীতি চাই এবং চাই না এর মধ্যে ফাঁক রয়েছে : দুদক চেয়ারম্যান

১৩

বিয়ে নিয়ে নিরাপত্তা জটিলতায় টেলর সুইফট

১৪

পুরো অ্যাশেজ থেকেই কি ছিটকে গেলেন অজি তারকা?

১৫

দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত, শেষ স্ট্যাটাস ভাইরাল

১৬

ঢাবি শিক্ষক কার্জনের জামিন

১৭

৩ বছর বিদেশে থেকেও ভোগ করেন বেতন-ভাতা

১৮

রহস্যময় বেলুনে লিথুনিয়ার বিমানবন্দর বন্ধ

১৯

বাউল শিল্পী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় এনসিপির নিন্দা

২০
X