১৯৯১ সালের ভয়াল ২৯ এপ্রিলকে স্মরণ করে আলোচনা সভা করেছে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি। যেখানে দিবসটিকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা, টেকসই বেড়িবাঁধ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে পাঠ্যপুস্তকে সংযুক্তি, প্যারাবন উদ্ধারসহ নানা পরামর্শ দিয়েছে উপস্থিত বক্তারা।
সমিতির সভাপতি স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, একুশে পদক বিজয়ী নাট্যকার কাউছার চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক সাদাত উল্লাহ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান, সহসভাপতি সন্তোষ শর্মা, সহসভাপতি ইয়াছিন মোহাম্মদ শামসুল হুদা, সহসভাপতি স্বপন কান্তি পাল, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তাকিম প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ২৯ এপ্রিলের ভয়াল অভিজ্ঞতা স্মরণ করেন। প্যারাবন তথা ম্যানগ্রোভ বনায়ন রক্ষায় তিনি সর্বমহলের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রাকৃতিক সাইক্লোন নয়, প্যারাবন ধ্বংসকে তিনি অরাজনৈতিক দুর্বৃত্ত সাইক্লোন উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের দুর্বৃত্তদের রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান।
একুশে পদক বিজয়ী নাট্যকার কাউছার চৌধুরী দিনটিকে স্মরণ করে তাদের আত্নার মাঘফেরাত কামনা করেন। তিনি ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ত্রাণ সাহায্য বিতরণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
বিশিষ্ট লেখক সাদাত উল্লাহ খান বর্তমানে প্যারাবন ধ্বংসের নিন্দা জানান ও এই প্যারাবন ছাড়া মহেশখালীর অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি প্যারাবন ধ্বংসকারীদের দুর্বৃত্ত উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।
কক্সবাজার সমিতির সহসভাপতি দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা কক্সবাজারে পরিবেশবান্ধ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনুরোধ করেন। তিনি পাহাড় নিধনের নিন্দা জানিয়ে কক্সবাজার সমিতিকে পরিবেশ রক্ষার যেকোনো উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ের স্মৃতিচারণ করে দিনটির গুরুত্ব তুলে ধরেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন প্রণিধানযোগ্য উদ্যোগকে তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রকৃত দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন হালনাগাদ করেছে। এ ছাড়া অবকাঠামো খাতের বিভিন্ন তৎপরতা অবগত করেন তিনি।
মন্তব্য করুন