শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪, ১১:৪৯ পিএম
আপডেট : ০৩ মে ২০২৪, ১১:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হঠাৎ কেন বাড়ছে ট্রেন দুর্ঘটনা?

সম্প্রতি ট্রেন দুর্ঘটনার একটি চিত্র। ছবি : কালবেলা
সম্প্রতি ট্রেন দুর্ঘটনার একটি চিত্র। ছবি : কালবেলা

যুগের পর যুগ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ট্রেন। অথচ অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গত একযুগে রেলের উন্নয়নে খরচ হয়েছে দেড় লাখ কোটি টাকা। এত খরচের পরও বাংলাদেশের রেলপথ কেন রয়ে গেছে প্রাগৈতিহাসিক যুগে? দিনের পর দিন কেন অনিরাপদ হয়ে উঠছে এই পথ?

অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে নানা অব্যবস্থাপনার তথ্য। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে কেন হঠাৎ দেশে বেড়ে গেছে ট্রেন দুর্ঘটনার পরিমাণ। সবশেষ শুক্রবার (৩ মে) ঢাকার অদূরে গাজীপুরের জয়দেবপুরে দুট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনার পর গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় হঠাৎ কেন বেড়েছে ট্রেন দুর্ঘটনা।

রেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ দিনের রেল পথ আর মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন-কোচই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। এ ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন খাতে প্রচুর খরচ হলেও তা রেলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক যুগে রেলের উন্নয়নে খরচ হয়েছে দেড় লাখ কোটি টাকা, অথচ এখনো অনিরাপদ থেকে গেছে রেলপথ। তিন হাজার কিলোমিটার রেলপথের ৬৩ শতাংশই এখন ঝুঁকিপূর্ণ। মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে ৭০ শতাংশ রেল ইঞ্জিন ও কোচ। এখনো সিগন্যাল চলছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। আর তাই বাড়ছে ট্রেন দুর্ঘটনা।

রেলের তথ্য বলছে, লোকবল সংকটের কারণে ভাড়া করা অদক্ষ শ্রমিক দিয়ে করানো হচ্ছে অপারেশনাল কাজ। দুর্ঘটনা বাড়ার এটিও একটি কারণ। যাত্রীরা বলছেন, সড়কে বাসগুলো চলাচলের সময় প্রতিযোগিতা করে। তাই ট্রেনকেই নিরাপদ মনে করেন তারা। কিন্তু এখন ট্রেনও দিন দিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে। অব্যবস্থপনার কারণেই দুটি ট্রেনের মুখোমুখি একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।

বিগত বছরগুলোতে বিনিয়োগ যতটা বেড়েছে ততটা বাড়েনি ট্রেনের গতি। বরং কমেছে অনেক রুটেই। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় কোথাও কোথাও ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চালকদের। ১০ বছরেও কমেনি যাত্রীদের অভিযোগ। এখনো টিকিট সংকট আর শিডিউল বিপর্যয় নিত্যসঙ্গী রেলপথের যাত্রীদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা দরকার তা না করে বিলাসী প্রকল্পে ঝুঁকছে রেল। ফলে অপরিকল্পিত অর্থ খরচের খেসারত দিচ্ছেন তারা।

এ বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, মূলত অবকাঠামোর পেছনে একটা বিনিয়োগ হয়েছে। কিন্তু দক্ষ জনবল তৈরি করা হয়নি। বলা যায়, দেশের রেল পরিচালনা এখনো অনেকটা প্রাগৈতিহাসিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত: রাষ্ট্রদূত আনসারী

লা লিগার কাছে যে অনুরোধ করতে চায় বার্সা

‘নির্বাচনে আমলাদেরকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে’

সাবেক এডিসি শচীন মৌলিক কারাগারে

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মৃত্যুর মিছিল, তিন বছরে প্রাণ হারান ১৮৩ জন

১০

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

১১

সুদ দিতে না পারায় বসতঘরে তালা, বারান্দায় রিকশাচালকের পরিবার

১২

দেশ বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে : চরমোনাই পীর

১৩

এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি-ভাঙচুর, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৪

জেলের জালে বড় ইলিশ, ৯ হাজারে বিক্রি 

১৫

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১৬

আগামী সংসদ প্রথম তিন মাস ‘সংবিধান সংস্কার সভা’ হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব

১৭

ধরলার তীব্র ভাঙন, টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি

১৮

নেতা ও ভোটারের জবাবদিহিই হবে শ্রেষ্ঠ সংস্কার : মঈন খান

১৯

পাপের ফল ওদের ভোগ করতেই হবে : রাশেদ খান

২০
X