১৯৭৬ সালের এই দিনে ফারাক্কা ব্যারাজ অভিমুখে লংমার্চ কোরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাড়া ফেলে দেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে সোচ্চার জনমত ফারাক্কা লংমার্চ করা হয়। ৯৫ বছরের শারীরিক অসুস্থতা বা রাজনৈতিক চাপ, দমাতে পারেনি তাকে। আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস।
পাকিস্তান আমলে ১৯৫২ সাল থেকে গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। যদিও ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের কাছে বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। পরে ভাসানী ফারাক্কা লংমার্চ করে।
তিস্তা ব্যারাজ দিয়ে ভারত ১৯৭৫ এ পরীক্ষামূলক অল্প কদিনের কথা বলে পানি প্রত্যাহার শুরু করে, পরবর্তীতে তা আর বন্ধ হয়নি। ফল হয়েছে ৪৮ বছর ধরে ফারাক্কা ব্যারাজের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির হাহাকার।
অবশ্য ১১২ ডিসেম্বর ভারতের গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়, যা কিছুটা হলেও প্রাপ্য পানি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে। তবে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আর দু’বছর পর। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেবে ভারত।
ফারাক্কা ব্যারাজের মাধ্যমে নদীর পানি সরানোয় শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের মালদহ, মুর্শিদাবাদসহ আরও উজানে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে আকস্মিক বন্যা, নদীভাঙনে প্রতি বছর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে বহু মানুষ।
মন্তব্য করুন