ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
আপডেট : ২৫ মে ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাতীয় কবির সমাধিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শ্রদ্ধা নিবেদন

জাতীয় কবির সমাধিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শ্রদ্ধা নিবেদন। ছবি : কালবেলা
জাতীয় কবির সমাধিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শ্রদ্ধা নিবেদন। ছবি : কালবেলা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৫ মে) কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন, সহসভাপতি আমান উল্লাহ আমান, ওমর ফারুক মাসুম, শাহীন মাতুব্বর, মুবিয়া হাসান নিয়াত চৌধুরী, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. এইউজেড প্রিন্স, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ নুর আলম সরদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীনসহ প্রমুখ নেতারা। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সংগঠনের নেতারা কবি নজরুলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, সাম্য, প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের মাঝে বেঁচে না থাকলেও তার আদর্শ ও চেতনা এখনো বেঁচে আছে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায়। কবির জীবদ্দশায় তিনি অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন। বাল্যকাল থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিদ্রোহ করাই তার নীতি ও আদর্শ ছিল। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা তরুণ প্রজন্মরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কবি নজরুল ইসলামের লেখা সাহিত্য নিয়ে ব্যাপক গবেষণা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

আল মামুন আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে তার সুযোগ্য পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কলকাতা থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে সুচিকিৎসা প্রদানসহ জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। সাম্য ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার সাহিত্যিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বে নন্দিত হয়ে আছেন। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তরুণদের প্রতিবাদী করার জন্য তার লেখনীগুলো ব্যাপক অনুপ্রেরণা জোগায়। মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে না। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায় কবি নজরুল আজীবন বেঁচে থাকবেন। সমগ্র বিশ্বে কবি নজরুল ইসলামের সাহিত্য কর্ম ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তাকে নিয়ে আরও বেশি গবেষণা হওয়া উচিত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কাশফুলের গালিচায় মোড়া বরিশালের বিসিক

উপ-সহকারীর ভরসায় চলছে ২০ শয্যার হাসপাতাল

মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক 

নদীর স্রোতে তলিয়ে গেল ৩ বোন

‘ভারতের মানচিত্রও মুছে যাবে’, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : আনোয়ারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টা ও ওসিকে হত্যার হুমকি যুবলীগ নেতার

অ্যানথ্রাক্সে মরছে গরু, আতঙ্কে কমেছে মাংস বিক্রি

নিখোঁজ ৫ জেলের সন্ধান মেলেনি সাত দিনেও

দক্ষ এমডির চরম সংকটে ব্যাংকিং খাত : গভর্নর 

১০

তারেক রহমানের পক্ষে শতাধিক কোরআন বিতরণ

১১

বিশ্ব রোবটিক্স প্রতিযোগিতা / জিহাদের উদ্ভাবিত রোবট ‘হেক্সাগার্ড রোভার’ পেল স্বর্ণপদক

১২

‘অসৎ মানুষের কাজে নয়, সমাজ ধ্বংস হয় সৎ মানুষের নীরবতায়’

১৩

গাজা অভিমুখে শহিদুল আলম, তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্ট

১৪

ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ডলারের মালিক হলেন ইলন মাস্ক

১৫

বিনা অস্ত্রোপচারে ৮ নবজাতকের জন্ম

১৬

রেকর্ড গড়ে স্বর্ণের নতুন দাম ২ লাখ ছুঁইছুঁই

১৭

যদি বেঁচে থাকি, ভবিষ্যতে তাদের গলায়ও গামছা পরাব : নুর

১৮

যেখানে ইতিহাস আর ভালোবাসা মিলেমিশে একাকার

১৯

সাংবাদিকদের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির দাবি 

২০
X