বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
আপডেট : ২৫ মে ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাতীয় কবির সমাধিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শ্রদ্ধা নিবেদন

জাতীয় কবির সমাধিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শ্রদ্ধা নিবেদন। ছবি : কালবেলা
জাতীয় কবির সমাধিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শ্রদ্ধা নিবেদন। ছবি : কালবেলা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৫ মে) কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন, সহসভাপতি আমান উল্লাহ আমান, ওমর ফারুক মাসুম, শাহীন মাতুব্বর, মুবিয়া হাসান নিয়াত চৌধুরী, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. এইউজেড প্রিন্স, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ নুর আলম সরদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীনসহ প্রমুখ নেতারা। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সংগঠনের নেতারা কবি নজরুলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, সাম্য, প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের মাঝে বেঁচে না থাকলেও তার আদর্শ ও চেতনা এখনো বেঁচে আছে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায়। কবির জীবদ্দশায় তিনি অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন। বাল্যকাল থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিদ্রোহ করাই তার নীতি ও আদর্শ ছিল। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা তরুণ প্রজন্মরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কবি নজরুল ইসলামের লেখা সাহিত্য নিয়ে ব্যাপক গবেষণা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

আল মামুন আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে তার সুযোগ্য পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কলকাতা থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে সুচিকিৎসা প্রদানসহ জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। সাম্য ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার সাহিত্যিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বে নন্দিত হয়ে আছেন। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তরুণদের প্রতিবাদী করার জন্য তার লেখনীগুলো ব্যাপক অনুপ্রেরণা জোগায়। মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে না। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায় কবি নজরুল আজীবন বেঁচে থাকবেন। সমগ্র বিশ্বে কবি নজরুল ইসলামের সাহিত্য কর্ম ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তাকে নিয়ে আরও বেশি গবেষণা হওয়া উচিত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুই শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় আহমাদুল্লাহর উদ্বেগ

সরকারি কর্মচারীরা দাফনের জন্য পাবেন টাকা

দেড় যুগেও নির্মাণ হয়নি জহির রায়হান মিলনায়তন

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

১০

ছাত্র সংসদের দাবিতে ‘আমরণ অনশন’ ঘিরে বিভক্ত বেরোবির শিক্ষার্থীরা

১১

বন্ধুত্ব চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন : লায়ন ফারুক

১২

গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর

১৩

জাজিরা হাসপাতালে দুদকের অভিযান, অনিয়মে জর্জরিত স্বাস্থ্যসেবা

১৪

ডেজার সভাপতি প্রকৌশলী রুহুল আলম, সম্পাদক প্রকৌশলী চুন্নু

১৫

নানা আয়োজনে গাকৃবিতে মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

১৬

বিপিএলের ফিক্সিং ইস্যুতে যা বললেন তামিম

১৭

রাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু বুধবার

১৮

এবার সিলেটের উৎমাছড়া থেকে ২ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ

১৯

জমি রেকর্ড সংশোধনের মামলা দায়েরের শেষ সময় সেপ্টেম্বরে

২০
X