শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘বাজেট প্রণয়ন থেকে বাজেট বাস্তবায়নে কোথাও জনগণের অংশগ্রহণ নেই’

‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে অংশীদারিত্ব এবং বাজেট  ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে অতিথিরা। ছবি : কালবেলা
‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে অংশীদারিত্ব এবং বাজেট  ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে অতিথিরা। ছবি : কালবেলা

বাজেট যখন প্রণয়ন করা হয় তখন মাঠপর্যায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয় না। জনগণের জন্য বাজেট করছেন জনগণের মতামত নিচ্ছেন না। বাজেট প্রণয়ন থেকে বাজেট বাস্তবায়ন পর্যন্ত কোথাও জনগণের অংশগ্রহণ নেই।

মঙ্গলবার(১১ জুন) হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ও এএলআরডির যৌথ আয়োজনে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে অংশীদারিত্ব এবং বাজেট ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত।

তিনি বলেন, প্রতিবছর বাজেটে কিছু কিছু খাতে ভালো বরাদ্দ পেলেও সেখানে পারিবারিক কৃষি, গ্রামীণ নারী, আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও কৃষি-ভূমি-জলা সংস্কার খাত একদম অবহেলিত। এই খাতে জনগোষ্ঠীর মানুষের জীবন মান-উন্নয়নে আলাদা কোনো বরাদ্দ থাকে না। তবে সরকারের এসব খাতকে আলাদা করে বরাদ্দ দেওয়া উচিত। কারণ আমাদের হিসেবে বিভিন্ন খাতে সরকারের পারিবারিক কৃষির জন্য বরাদ্দ ৪০ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ৫.৩ শতাংশ ছিল। যদি গত বছরের মতো এ বছরও একই রকম বরাদ্দ থাকে তা হতে পারে প্রায় ৪৫ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা।

সিরডাপ মিলনায়তনের সেমিনারে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী আর মোট জনসংখ্যার ৩৫.১ শতাংশ গ্রামীণ নারী। আমাদের হিসাবে গত বাজেটে গ্রামীণ নারীদের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩১ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ৪.১ শতাংশ। চলমান বাজেট বরাদ্দে গ্রামীণ নারী তার ন্যায্য বরাদ্দ পাননি। আদর্শ অবস্থা বাস্তবায়ন কঠিনসাধ্য। তাই গ্রামীণ নারীর জন্য বিদ্যমান মাথাপিছু বরাদ্দের নিদেন পক্ষে দাবি করছি। গ্রামীণ নারীর মধ্যে ভূমিহীন, কৃষি-মৎসজীবিতার সাথে যুক্ত নারী, বিধবা এবং প্রতিবন্ধী নারীর সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৯০ লাখ। তাদের বাজেট-বরাদ্দ বঞ্চনা আরও বেদনাদায়ক। অনুমিত যে এই ধরনের গ্রামীণ নারীরা বাজেট থেকে মাথাপিছু পান সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫৭০ টাকা।

এ সময় তিনি বলেন, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটে কোনো কাঙ্ক্ষিত ফল নেই। বাংলাদেশে কতসংখ্যক আদিবাসী আছে তার কোনো সরকারি পরিসংখ্যান নেই দেশে। চলতি অর্থবছরে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ২৩ কোটি টাকা। আমরা আগামী অর্থবছরে এর দ্বিগুণ দাবি করছি এই জনগোষ্ঠীর মানুষের উন্নয়নের জন্য।

সেমিনারে আরও আলোচনা করেন ড. জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজ্জেকুজামান রতন, এএলআরডি প্রধান নির্বাহী পল্লব চাকমা, হিজরা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি জয়িতাসহ অনেকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বুয়েট শিক্ষার্থী সনি হত্যা মামলার আসামি টগর গ্রেপ্তার

শ্রীলঙ্কার জয়ে ভর করে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

গাজায় ইসরায়েলের চার সেনা নিহত

রাজধানীর ইন্দিরা রোড থেকে এক আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ইন্দোনেশিয়ায় আন্তঃধর্মীয় সম্মেলন / অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন ও সম্প্রীতিময় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে গুরুত্ব

পেনশন নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বড় সুখবর

অস্ত্র মামলায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

চাকসুতে ১০ পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা

চট্টগ্রামকে ক্লিন সিটি করতে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনার উদ্যোগ চসিকের

রাত নামলেই লুট হচ্ছে কীর্তনখোলা নদীর বেড়িবাঁধের ব্লক

১০

পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা গিরীধারী লালের পরলোকগমন

১১

‘বাংলাদেশ-চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে’

১২

পাল্টে গেল সমীকরণ, এখন যেভাবে সুপার ফোরে যেতে পারে বাংলাদেশ

১৩

নির্বাচনী দায়িত্বে অবহেলা ও অপরাধের সাজা বাড়ছে

১৪

ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতালের অনন্য অর্জন

১৫

বিসিএস পরীক্ষা / সেনানিবাস এলাকায় প্রবেশে বিশেষ নির্দেশনা

১৬

বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি, কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ

১৭

কক্সবাজারে ৩১৭ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

১৮

জুলাই ঘোষণার আইনি ভিত্তি দিয়েই আগামী নির্বাচন হতে হবে : গোলাম পরওয়ার 

১৯

সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে গবেষণা ও উদ্ভাবনী সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে

২০
X